Advertisement
E-Paper

তিন গুণ ছাপিয়েছে সোয়াইন ফ্লু-র মৃত্যু, ২০০৯-র ছাপ কি ফিরে আসছে?

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৭৮৬ আর মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬৫। এ বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১২,৪৬০ জন আক্রান্ত হন। ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৫:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়িয়ে দেশে ফের তাণ্ডব শুরু করল সোয়াইন ফ্লু। বছরের প্রথম ছ’মাসেই যার ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ৬০০ জনের। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৭৮৬ আর মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬৫। এ বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১২,৪৬০ জন আক্রান্ত হন। ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা আবার ২০ থেকে ৫০ বছরের মানুষের মধ্যেই বেশি। পরিস্থিতি ২০০৯ সালের মতো হবে না তো? চিন্তা বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। কারণ, ২০০৯ সালে যখন জিন পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন রূপে সোয়াইন ফ্লু দেখা দিয়েছিল তখন দেশ জুড়ে প্রায় ৫০,০০০ মানুষ আক্রান্ত হন। মারা যান ২,৭০০ জন। ২০১৭-তে বছরের শুরুতেই গত বছরকে ছাপিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের মধ্যে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে। চলতি বছরে এই রাজ্যগুলিতে এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে ১৬৫, ১৪৪, ৭৬ এবং ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্টো দিকে আবার দিল্লি এবং তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সচেতনতা এবং অধিকতর উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মৃত্যুর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। এ রাজ্যেও ইতিমধ্যেই সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। মৃত্যুর খবরও মিলেছে।

আরও পড়ুন: গোরক্ষক সামলাক রাজ্য, নিদান মোদীর

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এক বিজ্ঞানী হিন্দুস্তান টাইমস‌্‌কে জানান, জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে নেওয়ায় সোয়াইন ফ্লু-র প্রতিষেধক বের করা মুশকিল। ২০০৯ সালের পর ২০১৫ সালে এই এইচ১এন১ ভাইরাস জাঁকিয়ে বসে দেশে। কি সেটি এইচ৩এন২ ছিল। ফলে হঠাৎ করে জিন সম্পূর্ণ বদলে ফেলায় ফ্লু সারানোর ওষুধ বের করতে পারেননি বিশেষজ্ঞেরা। চলতি বছরেও তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এর কারণ হিসেবে হু জানায়, ২০১৬-র শেষ দিকে সোয়াইন ফ্লু-র ক্যালিফোর্নিয়া স্ট্রেনের পাশাপাশি মিচিগান স্ট্রেন দেখা গিয়েছিল। চলতি বছরে সেই স্ট্রেনটির প্রভাব অনেক বেশি। তবে মিচিগান স্ট্রেন তার পূর্বসূরির থেকে অধিক প্রভাবশালী না হওয়ায় চিন্তার কিছু নেই বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্তও করেছে তারা।

Swine flu National Centre for Disease Control WHO H1N1 Health সোয়াইন ফ্লু
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy