Advertisement
E-Paper

এক মেয়ের মৃত্যু, আরও দুই সন্তান ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, চিকিত্সা চালাতে গিয়ে ঋণে জর্জরিত ব্যক্তি

সুপ্রিয়ার মৃতদেহ পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পয়সার অভাবে সুপ্রিয়ার সৎকার অনুষ্ঠান পর্যন্ত করতে পারেননি তার বাবা। সুপ্রিয়ার দেহ নিয়ে তার মা, নেল্লোরের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই কোনও রকমে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৪০
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

সুপ্রিয়া মারা গিয়েছে ডেঙ্গুতে, আর তার দুই ভাই-বোন ভর্তি হাসপাতালে। আর তিন সন্তানের চিকিত্সার খরচের দায়ে দেনায় ডুবে তাদের বাবা। এমনই এক ঘটনা সামনে এল হায়দরাবাদে।তবে এটা এখন আর তেলেঙ্গানার বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। এমনই অবস্থা আরও বহু মানুষের। প্রতিদিনই তেলেঙ্গানায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর চিকিত্সার খরচ চালাতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের দিশেহারা অবস্থ।

শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় প্রায় তিন হাজার ডেঙ্গি আক্রান্তর খবর পাওয়া গিয়েছে। বেসরকারি মতে যাঁর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৬ জনের।মৃতদের মধ্যে একজন তেলেঙ্গানার নেল্লোর জেলার এস সুপ্রিয়া। ডেঙ্গি ধরা পড়ার পর নালগোন্ডা থেকে ১০১ কিলোমিটার দূরে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুপ্রিয়াকে। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সুপ্রিয়াকে ভর্তি করার সময় হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা জমা করেন তার বাবা-মা। শুধু সুপ্রিয়ার চিকিত্সার বিলই দাঁড়ায় ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু ওই ব্যক্তির আরও দুই সন্তান সাত বছরের সূর্যনারায়ণ ও পাঁচ বছরের সঞ্জনাও একই হাসপাতালে ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি হয়।

সুপ্রিয়ার মৃতদেহ পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পয়সার অভাবে সুপ্রিয়ার সৎকার অনুষ্ঠান পর্যন্ত করতে পারেননি তার বাবা। সুপ্রিয়ার দেহ নিয়ে তার মা, নেল্লোরের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই কোনও রকমে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন : ‘এবার মা হতে চাই’, সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন প্রিয়ঙ্কা

মঙ্গলবার সুপ্রিয়ার বোন সঞ্জনাকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল। আর সূর্যনারায়ণকেও ছেড়ে দেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে। এখনই এই তিন জনের চিকিত্সার খরচ দাঁড়িয়েছে দু’ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন : মায়ের সঙ্গে ঝগড়া, গৃহশিক্ষিকাকে খুন ১২ বছরের কিশোরের

মৃত্যুর কারণ নিয়ে যাতে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে, তার জন্য তেলেঙ্গানার হাসপাতালের চিকিত্সকরা ডেঙ্গির ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটের সঙ্গে রিপোর্টের কপিও জুড়ে দিচ্ছেন। তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিন্দর জানিয়েছেন, নিশ্চিত হয়ে তবেই বলা হচ্ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে কিনা। আর ডেঙ্গির চিকিত্সা করাতে গিয়ে আর্থিক চাপে পড়া নিয়ে সরকারে বক্তব্য, বেসরকারি হাসপাতালগুলিই এর জন্য দায়ী।

Dengue Hyderabad death Telengana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy