—ফাইল চিত্র।
সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারকে এড়িয়ে গেলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতির সঙ্গে এক মঞ্চে উঠলেন না তিনি। আজ পটনার গাঁধী ময়দানে সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বকে একত্রিত করে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘দেশ বাঁচাও’ সভার আয়োজন করেছিল সিপিআই। হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইএমএলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, শরদ যাদব, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি-সহ রাজ্য ও দেশের বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিরা। আমন্ত্রণ জানানো হয় তেজস্বীকেও। কিন্তু কোনও কারণ না দেখিয়ে তিনি হাজির হলেন না।
এ দিন মঞ্চে ছিলেন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি, রাজ্য সম্পাদক সত্যনারায়ণ সিংহ, অতুল অঞ্জনের মতো নেতারা। তবে সকলের উৎসাহের কেন্দ্রে ছিলেন ভূমিপুত্র কানহাইয়া কুমার। জাতপাতের রাজনীতির বিহারে ‘ভূমিহার’ কানহাইয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ‘যাদব’ নেতা তেজস্বী। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, বিহারে বিরোধী মহাজোটের চালিকাশক্তি আরজেডিই। সিপিআই বা বামদলগুলির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকলেও নির্বাচনী জোট ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও সভায় তিনি যাবেন না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কানহাইয়া কুমারের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে হারানো শক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সিপিআই রাজ্য সম্পাদক সত্যনারায়ণ সিংহ। রাজ্য কমিটির তরফে কানহাইয়াকে বেগুসরাইয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। তবে আরজেডির সমর্থন ছাড়া ওই আসনে যে জেতা সম্ভব নয় তা সিপিআই নেতৃত্ব ভাল করেই জানেন। সে কারণে লালুপ্রসাদকে তুষ্ঠ করার চেষ্ঠা করছেন তাঁরা। লালুপ্রসাদ রাজি হলেও তেজস্বী কানহাইয়াকে টিকিট দিতে নারাজ। সিপিআই রাজ্যে ছ’টি আসন দাবি করলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy