মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।—ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের নতুন জল্পনা উসকে দিল বিজেপি। সোমবারই বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা মহারাষ্ট্রের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যে বিজেপি-কে একার জোরে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি শিবসেনার সঙ্গে ফের সন্ধির সম্ভাবনা একেবারেই বাতিল করে দিয়ে পাকাপাকি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বিজেপি? মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল নতুন মোচড় দিলেন। জানালেন, বিজেপির সংসদীয় বোর্ড যদি রাজ্যের স্বার্থে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে বোঝাপড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই লড়বে।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে ফের জোট তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিজেপির মধ্যে আলোচনা চলছে। উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছে বটে, তবে তাতে ফাটলও রয়েছে। চন্দ্রকান্ত পাটিলের মন্তব্য সেই ফাটলকে বড় করার চেষ্টা বলেই রাজনীতিবিদরা মনে করছেন। পাটিলের মন্তব্য, “আমরা একসঙ্গে সরকার গড়তেই পারি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা নির্বাচনেও একসঙ্গে লড়ব।”
উদ্ধব সম্প্রতি দলীয় মুখপত্রে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিন দলের জোট অটোরিকশা হলে, সেটির স্টিয়ারিং তাঁরই হাতে রয়েছে। এর পরেই সোমবার এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার উদ্ধবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে উদ্ধবের গল্ফ কার্টে সওয়ার ছবি টুইট করেন। সেই ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিং অজিতের হাতে। বার্তা স্পষ্ট, উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী হলেও জোটের নিয়ন্ত্রণ এনসিপপি নিজের হাতেই রেখেছে। এর আগে করোনা মোকাবিলায় উদ্ধব সরকারের ব্যর্থতার দায়ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী নিতে চাননি। বিজেপি এই ফাটলেরই সুযোগ নিতে চাইছে। শিবসেনার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে পাটিলের ব্যাখ্যা, “২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দফতর শিবসেনাকে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জাতীয় দল হিসেবে বিজেপির পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঞ্চলিক দলকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy