‘কে যেন আমার মাথায় ঢুকে পড়েছে! আমার মাথার মধ্যে সব কিছু হাতড়ে বেড়াচ্ছে! ডাক্তারবাবু, জানেন কি আমার মাথার ভেতর মার্কিন ফেডেরাল পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে?’ মন্তব্যটি যাঁর তাঁর নাম শ্রীরেখা (নাম পরিবর্তিত)।
‘আমার মাথার ভেতরটা যেন কেমন কেমন করছে! কেপিএস গিল (পঞ্জাবের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা) আমার মাথার ভেতর কম্পিউটারের চিপ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ওই চিপই আমাকে কী সব জটিল জিনিস দেখাচ্ছে! মনে হচ্ছে, আমি অন্ধ্রের কোনও মন্দিরে বসে রয়েছি।’ বক্তার নাম রাকেশ পি (নাম পরিবর্তিত)।
গোটা বেঙ্গালুরুতেই এখন এমন সব অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ঘটে চলেছে। মাথৈার ভেতর কারা যেন সব ঢুকে পড়েছে! হামলা চালাচ্ছে! কখনও টেলিফোন আসছে মানবাধিকার কমিশনে, কখনও পুলিশে। ফোনে ফোনে জেরবার হয়ে যাচ্ছেন মনস্তাত্ত্বিকরা। অনেকে আবার সমস্যার জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসতে দ্বারস্থ হচ্ছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেসের (নিমহ্যান্স)।
নিমহ্যান্সের অধিকর্তা বিএন গঙ্গাধরের কথায়, ‘‘অনেক সময় প্যারনইয়ায় ভোগা মানুষ এমন ভীতি আর সন্দেহপ্রবণতায় আক্রান্ত হন। বাস্তবে যে ভয়ের কথাগুলি তাঁরা শোনেন, বলাবলি করেন বা কোনও বই, কাগজ, ম্যাগাজিন, জার্নালে পড়েন, সেটাই তাঁদের চেতনায় ঢুকে পড়ে। তাঁরা সব সময় সেটাকে নিয়েই ভাবতে শুরু করেন। এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা।’’
মনোরোগ চিকিৎসক জিকে কান্নন অবশ্য বলছেন, ‘‘আমার কাছে এমন এক রোগী এসেছিলেন যিনি ভাবেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মস্তিষ্কে কম্পিউটারের চিপ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা। খুব ছোট গ্রুপে যাঁরা মেলামেশা করেন আর খুব সামান্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনাতেই মেতে থাকেন, তাঁদেরই এমন হয়।’’
আরও পড়ুন- ছেলেকে পাল্টা মুলায়মের, রামগোপাল যাদবকে দল থেকেই তাড়িয়ে দিল সপা