Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Crime

‘চুরি করে খুব ভুগেছি’, মন্দিরে চুরি করা সামগ্রী ফিরিয়ে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখলেন চোর!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনাথ দিগম্বর জৈন মন্দির থেকে ১০টি রুপো ও পিতলের সামগ্রী চুরি যায় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশের মন্দির থেকে রুপো ও পিতলের সামগ্রী চুরির অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

মধ্যপ্রদেশের মন্দির থেকে রুপো ও পিতলের সামগ্রী চুরির অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৩
Share: Save:

মন্দিরে ঢুকে নানা সামগ্রী চুরি করেছিলেন এক যুবক। চুরি গিয়েছিল রুপো, পিতলের একাধিক জিনিস। মন্দিরে চুরির ঘটনায় তদন্তেও নামে পুলিশ। কিন্তু চোরকে কব্জা করতে পারেনি। এমন সময় নিজের কৃতকর্মে অনুতপ্ত হয়ে চুরি করা সামগ্রী ফেরত পাঠালেন অভিযুক্ত যুবক। সেই সঙ্গে চুরি করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠিও লিখেছেন অভিযুক্ত যুবক। লিখেছেন, ‘‘ভুল করেছি, ক্ষমা করে দিন।’’ এমন কাণ্ড ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনাথ দিগম্বর জৈন মন্দির থেকে ১০টি রুপো ও পিতলের সামগ্রী চুরি যায় বলে অভিযোগ ওঠে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় দাবর জানিয়েছেন, গত ২৪ অক্টোবর লামতা থানা এলাকায় ওই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। তার পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ।

গত শুক্রবার লামতা এলাকায় পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে একটি জৈন পরিবার। এর পরই তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানান। ওই ব্যাগটি খুলতেই মন্দির থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে চোরের একটি লেখা চিঠি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে চুরির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার কাজের জন্য ক্ষমা চাইছি। একটা ভুল করেছি। আমায় ক্ষমা করে দিন। চুরির পর অনেক ভুগেছি।’’ এমন কাণ্ড দেখে চমকে গিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে ক্ষমা চাইলেও ওই যুবককে পাকড়াও করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime national news
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE