Advertisement
E-Paper

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে ‘এনকাউন্টার’! হত তিন মাওবাদী, চলছে তল্লাশি অভিযান

সুকমার পুলিশ সুপার (এসপি) কিরণ চ্যবন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, মাওবাদী দমন অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩৬
ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ হত তিন মাওবাদী।

ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ হত তিন মাওবাদী। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই (এনকাউন্টার) মাওবাদীদের। হত তিন মাওবাদী সদস্য। রবিবার সকালে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সুকমার ভেজ্জি এবং চিন্তাগুফা থানা এলাকার পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)।

ডিআরজি-র সদস্যেরা জঙ্গলের পথে ঢুকতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরাও। গুলির লড়াইয়ের পর তিন মাওবাদীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মাওবাদীদের সন্ধানে ওই এলাকায় এখনও তল্লাশি চলছে।

এই প্রসঙ্গে সুকমার পুলিশ সুপার (এসপি) কিরণ চ্যবন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, মাওবাদী দমন অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।

চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত শুধু ছত্তীসগঢ়েই ‘এনকাউন্টারে’ ২৬২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বস্তার ডিভিশনে। ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-সহ সাত জেলা এই ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরে এনকাউন্টারে ২৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের গরিয়াবন্দ জেলায়, যেটি রায়পুর ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত। অন্য দিকে, সে রাজ্যের দুর্গ ডিভিশনে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই মাওবাদীর।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমা, বিজাপুরের মতো এলাকা এক সময় মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ হিসাবেই পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র নেতাকর্মীদের বার বার মূলস্রোতে ফেরার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা যদি মূলস্রোতে ফিরতে চান, তবে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহ জানিয়েছেন, আগামী বছর ৩১ মার্চের মধ্যে গোটা দেশ মাওবাদীমুক্ত হবে। সেই আবহে আত্মসমর্পণ করছেন একের পর এক মাওবাদী। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর বস্তার জেলার জগদলপুরে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রূপেশ ওরফে সতীশ-সহ মোট ২১০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন— যাঁদের সম্মিলিত মাথার দাম ছিল মোট ৯.১৮ কোটি টাকা। সঙ্গে ১৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্রও হস্তান্তর করেছিলেন তাঁরা। তা ছাড়া, অক্টোবরের শুরুতে বস্তারের বিজাপুরে ১০৩ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

Maoist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy