সংসদে একসুরে সরব তণমূল-সিপিএম! বিরল ঘটনা বটে, তবে সেটাও সম্ভব করে তুলল ‘রাজ্যের স্বার্থ। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আজ রাজ্যসভায় সরব হন দু’দলের সাংসদরা। তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় বেঙ্গল কেমিক্যালস ও ব্রিজ অ্যান্ড রুফ সংস্থার ‘স্ট্র্যাটেজিক সেল’ নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাতে সমর্থন জানান সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এর পর ঋতব্রত দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরণ নিয়ে আপত্তি তুললে তাঁকে আবার সমর্থন জানান তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর, যোগেন চৌধুরী, আহমেদ হাসান ইমরানরা। বাদ যাননি জয়া বচ্চন, কে টি এস তুলসির মতো সাংসদরাও।
সুখেন্দুবাবুর বক্তব্য, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের তৈরি বেঙ্গল কেমিক্যালস এশিয়ার একমাত্র সংস্থা যারা অ্যান্টি-ভেনম সিরাম তৈরি করে। গত বছর এই সংস্থাটি এক কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র এই সংস্থার ‘স্ট্র্যাটেজিক সেল’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘মিনিরত্ন’ সংস্থা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির হাতে কয়েকশো বরাত রয়েছে। এর বেসরকারিকরণ হলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যত্রও হাজার হাজার শ্রমিক
কাজ হারাবেন। সুখেন্দুবাবুকে সিপিএমের সাংসদরা শুধু নন, করুণানিধি-কন্যা, ডিএমকে-র কানিমোঝিও সমর্থন জানান।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সেইল-এর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট পাঁচশো রকমের ইস্পাত তৈরি করে। রেল থেকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে তা ব্যবহার হয়। সংস্থার কর্মী ৭,৪০০ থেকে ৯৫৪-তে কমিয়ে আনলেও উৎপাদন ও মানের হেরফের হয়নি। সেইল-এর ক্ষতির মধ্যে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের ক্ষতির পরিমাণ খুবই সামান্য। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে দুর্গাপুর শিল্পনগরীতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।