চাকরাতার টাইগার জলপ্রপাত উত্তরাখণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। প্রতি বছরই এখানে প্রচুর পর্যটক আসেন। জলপ্রপাতে স্নান করেন। সোমবার তেমনই পর্যটকদের ভিড় ছিল এই জলপ্রপাতের সামনে। কেউ কেউ আবার জলপ্রপাতের জলধারায় নেমে স্নানও করছিলেন। আচমকাই পাহাড়ের উপর থেকে একটি বড় গাছ উপড়ে গিয়ে নীচে পড়ে। তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। আহত হয়েছেন তিন জন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আকাশ পরিষ্কার ছিল, কোনও বৃষ্টি বা ঝড়ও হচ্ছিল না। অনেকেই জলপ্রপাতের জলধারায় স্নানে মগ্ন ছিলেন। আচমকাই জোরালো একটি শব্দ। তার পর চিৎকারের আওয়াজ। তত ক্ষণে বাকি পর্যটকেরা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছিলেন। তখনও কেউ বুঝতে পারেননি কী বিপদ ঘটে গিয়েছে। তবে পর্যটকদের মধ্যেই কয়েক জন চিৎকার করছিলেন, গাছের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন অনেকে। কিছু পর্যটক উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশাল আকারের গাছ থাকায় সেটি সরাতে পারছিলেন না। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাছ কেটে তার নীচ থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতেরা হলেন, দিল্লির সহদরার বাসিন্দা অলকা আনন্দ (৫৫) এবং চাকরাতার বাসিন্দা গীতারাম জোশী (৪৮)। দু’জনেই গাছের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। আহত হয়েছেন আরও তিন পর্যটক। গীতারাম জোশী স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে টাইগার জলপ্রপাতে বেড়াতে এসেছিলেন। কন্যার সঙ্গে এসেছিলেন অলকা।
এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে স্মরণ করতে পারছেন না ওই পর্যটনস্থলে যাওয়া পর্যটকদের একাংশ। তবে কী কারণে এমন দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। আপাতত পর্যটকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, জলপ্রপাতের খুব যেতেও পর্যটকদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।