Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Tripura Assembly Election 2023

কেন্দ্রের ডাকে দিল্লিতে আলোচনায় তিপ্রা নেতৃত্ব, ত্রিপুরার ভোটে রফা বিজেপির সঙ্গে?

বুধবার রাতে কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ে রেখে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে জনজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাতে কার্যত ইতি টেনে দিয়েছে সিপিএম।

‘বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোতবিক্রম মাণিক্য দেববর্মন।

‘বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোতবিক্রম মাণিক্য দেববর্মন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৮
Share: Save:

বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনায় কার্যত জল ঢেলে দিল জনজাতি দল তিপ্রা মথা। কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার ‘বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড’ গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লি গিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোতবিক্রম মাণিক্য দেববর্মন, সভাপতি বিজয় রাঙ্খল-সহ দলের প্রথম সারির নেতারা।

গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের কথা বললেন বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরা ভাগের কথা বলে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়ায়নি তিপ্রা। দলের মুখপাত্র অনিমেষ দেববর্মা বুধবার বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে রাজ্য নয়, তিপ্রাল্যান্ড হবে রাজ্যের মধ্যে আর এক রাজ্য।’’

বুধবার রাতে কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ে রেখে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে জনজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাতে কার্যত ইতি টেনে দিয়েছে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বংশধর প্রদ্যোতবিক্রম প্রতিষ্ঠিত দলের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভবনা দেখছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোতবিক্রম ২০২১ সালের গোড়ায় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়োনাল অ্যালায়েন্স বা তিপ্রা মথা দল গড়েছিলেন।

দলের জনভিত্তির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ২০২১ সালের এপ্রিলে, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল (এডিসি) নির্বাচনে। বিভিন্ন আদিবাসী বা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে তৈরি তিপ্রা মথা এডিসির ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি ৯টি আসন মিলিত ভাবে পায় বিজেপি এবং তাদের জোট সঙ্গী জনজাতি আইপিএফটি।

২০১৮-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ৮টি আসনে জিতেছিল আইপিএফটি। কিন্তু গত দু’বছরে আইপিএফটির ৮ জন বিধায়ক তিপ্রায় যোগ দিয়েছেন। ১ জানুয়ারি আইপিএফটি প্রধান তথা জোট সরকারের মন্ত্রী এনসি দেববর্মার মৃত্যুর পর কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়া দল ইতিমধ্যেই তিপ্রায় মিশে যাওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে তিপ্রার সমঝোতা হলে জনজাতি প্রধান ২০টি আসনে পদ্ম-শিবির সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE