ভারতের অস্বস্তি যতই বাড়ুক, কূটনৈতিক চ্যানেলে যতই আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে নিরস্তের চেষ্টা করা হোক না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প অপ্রতিরোধ্য। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির নিয়ে যখন দর কষাকষি চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন ট্রাম্পের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা সংক্রান্ত বারংবারদাবি, তাঁর নিজস্ব কৌশল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।
জাপান সফররত ট্রাম্প এক নৈশভোজে ব্যবসায়ী-নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্যের চাপে অনেক যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, “আমি দুনিয়ার জন্য এক বড় সেবা করেছি।” এর পরই তঁর অধুনা প্রিয় বিষয় ভারত-পাকিস্তানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনি যদি ভারত ও পাকিস্তানের দিকে তাকান— তারা তখন লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল। সাতটি নতুন, সুন্দর বিমানকেগুলি করে নামানো হয়েছিল।”ট্রাম্প দাবি করেছেন যেতিনি ওই সময় ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবলেন এবং পাকিস্তানি সেনা প্রধানকেও বার্তা দেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথায়, “আপনারা যদি ভারত এবং পাকিস্তানকে দেখেন, ওরা সংঘাত বাড়িয়ে চলছিল। ৭টি সুন্দর আনকোরা নতুন বিমানকে গুলি করে নামানো হয়। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদী, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ— যাঁরা খুবই ভাল মানুষ ও খুবই সুন্দর মানুষ এবং পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে বললাম, দেখো আমরা কোনও ব্যবসাই করব না, যদি আপনারা এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বন্ধ হয়ে গেল। দুরন্ত ব্যাপার এটা। আমার ধারণা যুদ্ধ না হওয়ার ৭০শতাংশ কারণ বাণিজ্য।”
প্রসঙ্গত, মাত্র তিন সপ্তাহ আগে একই ভাবে সাতটি বিমান নামানোর তত্ত্ব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এক সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে দাবি করে বলেন, ‘‘ওরা যাচ্ছিল সেই পথে— সাতটি বিমান গুলি করে নামানো হয়েছে। সংখ্যাটা অনেক। সে সব চলছিলই। পরমাণু যুদ্ধও হতে পারত।’’তাঁর দাবি, ‘শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি’ দিয়ে তিনি সেই যুদ্ধ বন্ধকরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বলি (ভারত এবং পাকিস্তানকে), তোমরা যুদ্ধ না থামালে ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপাব। তা হলে তোমরা আর চুক্তি করতে পারবে না। তোমাদের সঙ্গে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)