Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Manipur Clash

জনজাতি সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডল ‘ব্লক’ করা হল মণিপুরে! ‘কন্ঠরোধের চেষ্টা’, বললেন কুকি নেতারা

টুইটার হ্যান্ডলটি খুললেই একটি নোটিস দেখা যাচ্ছে, যেখানে লেখা রয়েছে, আইনগত দাবি মেনে এই টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

Twitter account of tribal leaders forum blocked ITLF Kuki community

মণিপুর হিংসার একটি ছবি (বাঁ দিকে)। বন্ধ করে দেওয়া সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট (ডান দিকে)। —পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ১২:৪৭
Share: Save:

মণিপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনজাতি সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডল ব্লক করে দেওয়া হল। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের নির্দেশেই ওই হ্যান্ডলটি ‘ব্লক’ করে দিয়েছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইটার হ্যান্ডলটি খুললেই একটি নোটিস দেখা যাচ্ছে, যেখানে লেখা রয়েছে, আইনগত দাবি মেনে ভারতে এই টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে জাতিহিংসায় উত্তপ্ত থাকা মণিপুরে। মণিপুর সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘কন্ঠরোধের চেষ্টা’র অভিযোগ তুলেছে জনজাতি সংগঠনটি।

মণিপুরের কুকি-জো জনগোষ্ঠীদের সংগঠন ইনডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম (আইটিএলএফ) বেশ কয়েক বছর ধরেই তফসিলি জনজাতিদের অধিকার রক্ষার দাবিতে সরব হয়েছে। গত ৩ মে মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়া ইস্তক সমাজমাধ্যমে কুকিদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছে সংগঠনটি। সেই সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই প্রসঙ্গে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে ‘কোণঠাসা’ হয়ে যাওয়া কুকি জনগোষ্ঠীর মানুষদের দাবিদাওয়াকে ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। মণিপুর সরকার মেইতেই জনগোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।

গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence Tweeter account Block
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE