ফের খবরে মুজফ্ফরনগর। এ বার অশান্তির কেন্দ্রে তিন বছরের পুরনো এক ধর্ষণের ভিডিও। গ্রামবাসীদের হোয়াটসঅ্যাপে এখন নতুন করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আগের সেই ভিডিও। এই ঘটনায় মুজফ্ফরনগরের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে গ্রামে। ক’দিন আগে ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ধর্ষিতা তরুণী। গত কাল তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। ওই তরুণী জানিয়েছেন, এক দিন নিজের কলেজের সামনে বাসস্টপে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেখানই তাঁকে অচেতন করে একটা হোটেলে নিয়ে গিয়ে তোলে এক যুবক। জ্ঞান ফিরলে ঘরের মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করে ওই যুবক ও তার সঙ্গীরা। এর পর অত্যাচারের কথা কাউকে না জানিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, পরের দিন অপরাধীরা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলে, পুরো ঘটনাটির ভিডিও রয়েছে তাদের কাছে। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সেই ছবি।
তাদের ভয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু মাঝে মাঝেই এর মাসুল চুকিয়েছেন টাকা দিয়ে। এই ঘটনার এক বছরের মাথায় বিয়ে করেন ওই তরুণী। ভেবেছিলেন শ্বশুড়বাড়িতে চলে গেলে হয়তো নিষ্কৃতি পাবেন। বাস্তবে অবশ্য এমন কিছুই ঘটেনি। বরং এই ক’বছর ধরে বারবার টাকার জোগান দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন। ধর্ষিতার দাবি, সম্প্রতি ওই যুবকেরা তাঁর থেকে ১ লক্ষ টাকা চায়। এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, এ বার সাফ বলে দিয়েছিলেন তিনি। আর তার পরেই গ্রামের সকলের ফোনে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ওই ভিডিও।
মুজফ্ফরনগরে এমন ঘটনা প্রথম নয়। এক সপ্তাহ আগে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক আশা-কর্মী। সেই রেশ কাটার আগেই ফের সামনে এল একই ধরনের অভিযোগ।