— প্রতীকী ছবি।
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন রাতে গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশকর্মীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের পশ্চিম সিংভূম জেলায় গোপন সূত্রে মাওবাদীদের আনাগোনার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। তাতেই গ্রেফতার করা হয় রামজা হেমব্রম এবং পাণ্ডু পূর্তি নামে দুই মাওবাদী সদস্যকে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিম সিংভূমের টোন্টো থানা এলাকার টুমবাহাকা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। খবর ছিল, বাড়িতে দেখা করতে এসেছেন দুই মাওবাদী সদস্য। অভিযানেই ৩০ বছরের রামজা এবং ২৩ বছরের পাণ্ডুকে পাকড়াও করা হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিম সিংভূমের পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর। তাঁর আরও দাবি, জেরার মুখে ধৃত দু’জন গুলির লড়াইয়ে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে গুলির লড়াইয়ে পুলিশের জাগুয়ার ফোর্সের এক সাব ইনস্পেক্টর এবং এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় ধৃত দু’জন প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
জানা গিয়েছে, গত ১৪ অগস্ট রাতে টুমবাহাকা এবং সারজোমবুরু গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় সিআরপিএফ, কোবরা, ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার এবং জেলার সশস্ত্র পুলিশের একটি দল তল্লাশি অভিযানে নামে। পুলিশের অভিযান সম্পর্কে আগেই আঁচ করে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মাওবাদীরাও। পুলিশের মিলিত বাহিনী এগোতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি শুরু করে মাওবাদীরা। অতর্কিত হামলায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে বাহিনী। পরে অবশ্য পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে সাব-ইনস্পেক্টর অমিত তিওয়ারি এবং কনস্টেবল গৌতম কুমারের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার আশুতোষের দাবি, ধৃত মাওবাদী সদস্য পাণ্ডুর ভাইও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর এবং গুলির লড়াইয়ে যুক্ত অন্যান্য মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy