কেন্দ্রের সমালোচনায় উদ্ধব ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ‘তাণ্ডব’ নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পুলিশের পড়ুয়া পেটানোর ঘটনা তাঁকে ১৯১৯ সালের ভয়াবহ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
জামিয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা। তা নিয়ে রবিবার দিল্লিতে একজোট হয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন সীতারাম ইয়েচুরি, কপিল সিব্বলের মতো নেতারা। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশনেও বিষয়টি ওঠে। সেখানেই মোদী সরকার এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় সরব হন উদ্ধব।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে উদ্ধব বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশজুড়ে যা পরিস্থিতি, তার মধ্যে দিল্লির ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ এবং পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় জালিয়ানবাগের ঘটনাই মনে পড়ছে আমার। ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে আসলে কি জালিয়ানওয়ালাবাগের মতোই পরিস্থিতি তৈরি করছি আমরা? ’’
যুব সমাজই দেশের শক্তি, তাদের উষ্মা বাড়িয়ে কখনও শান্তিস্থাপন সম্ভব নয় বলেও জানান উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘‘কোনও দেশ বা রাজ্যের যুবসমাজ বিক্ষুব্ধ হলে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা যায় না। তরুণ প্রজন্মের সংখ্যায় খুব শীঘ্র বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে ছাপিয়ে যাব আমরা। মনে রাখবেন, যুবশক্তি বিস্ফোরকের মতো, তাতে আগুন ধরাতে যাবেন না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে মতবিরোধের জেরে সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে প্রায় চার দশকের সম্পর্কে ইতি টেনেছে শিবসেনা। উদ্ধবের নেতৃত্বে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে তারা। তার পরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভোটাভুটির সময় লোকসভায় ওই বিলের পক্ষে ভোট দেয় তারা। পরে রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা করলেও, ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। যে কারণে বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই বিলটি পাশ হয়ে যায়। তার পর থেকেই দেশের বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে দেশের একাধিক রাজ্য, যা শিক্ষাঙ্গনেও প্রবেশ করেছে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াও তাতে শামিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy