ডমিনিক ও জয়শঙ্কর।
ব্রিটিশ বিদেশসচিব ডমিনিক রাব দিল্লিতে এসেছেন চার দিন আগে। এখানে তিনি আজ জানালেন, বিমানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বইটি পড়তে পড়তে এসেছেন তিনি। সেখানে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নয়াদিল্লির উদ্যোগের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি চমৎকৃত।
ঘটনা হল, শুধু ব্রিটেন নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সমুদ্রপথের এই কূটনৈতিক বাণিজ্যিক উদ্যোগে বহুপাক্ষিক ভাবে বা দ্বিপাক্ষিক ভাবে ভারতের শরিক হতে চাইছে। তবে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এক দিকে যেমন চিন-বিরোধিতার সুর বাজছে, তেমনই আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার প্রকাশ্য বিরোধও সামনে চলে এসেছে। মস্কো একে দেখছে ‘আমেরিকার নেতৃত্বাধীন চিন-বিরোধী একটি চাল হিসেবে’।
সব মিলিয়ে চলতি বছরে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বিদেশনীতির মধ্যে চলে এসেছে এই সমুদ্র-কৌশল। গত কাল বণিকসভা সিআইআই-এর একটি আলোচনাচক্রে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, সুস্থিতি এবং সমৃদ্ধি গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, “এই সমুদ্রপথ গত কয়েক বছরে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কারণে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশের বাসস্থান এই জলপথের উপকূলে, যাদের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বিশ্বের ৬২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে।”
গোটা উদ্যোগটি যে সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্যের মোকাবিলা করতে‒ এটা কখনওই মুখে বলছে না নয়াদিল্লি। বরং বলা হয়েছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মুক্ত, উদার এবং আন্তর্জাতিক আইনের শাসন মেনে চলা এক বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। এই উদ্যোগ বিশেষ কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগটি নিয়ে আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকার সঙ্গে নিরন্তর ষোগাযোগ রেখে চলছে বিদেশ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy