E-Paper

নতুন প্রেস রেজিস্ট্রেশন ও মধ্যস্থতা বিলে সায়

নতুন প্রেস এবং রেজিস্ট্রেশন বিল সংসদে পাশ হলে তা ১৮৬৭ সালের প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস আইনের স্থলাভিষিক্ত হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৫
PM Narendra Modi.

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল দু’টি নতুন বিল। মধ্যস্থতা বিল ২০২১ এবং পত্রপত্রিকার জন্য প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন বিল ২০২৩। আগামী কাল থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনে বিল দু’টি পেশ করা হবে।

নতুন প্রেস এবং রেজিস্ট্রেশন বিল সংসদে পাশ হলে তা ১৮৬৭ সালের প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস আইনের স্থলাভিষিক্ত হবে। এর ফলে অনলাইনেই নতুন সংবাদপত্র বা সাময়িকপত্রের জন্য আবেদন করা যাবে। চলতি ব্যবস্থায় কোনও নতুন কাগজ বা পত্রিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রকাশক এবং মুদ্রকের তরফে প্রথমে জেলাশাসকের কাছে আবেদন এবং হলফনামা দাখিল করতে হয়। জেলাশাসক সেই আবেদন পাঠান রেজিস্ট্রার অব নিউজপেপারস ইন ইন্ডিয়া-র (আরএনআই) কাছে। তারা খতিয়ে দেখে, নতুন পত্রিকার জন্য বেছে নেওয়া নামটি আদৌ পাওয়া যাবে কি না। অনলাইন ব্যবস্থায় এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার আর কোনও প্রয়োজন থাকবে না। সেই সঙ্গে জেলাশাসকের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার দায়ে প্রকাশক ও মুদ্রকের ছ’মাস পর্যন্ত জেল হওয়ার বিধান ছিল। সেটিও নতুন বিলে রাখা হয়নি। ব্যবসায় স্বচ্ছতা এবং সহজতা বাড়ানোই নতুন বিলের লক্ষ্য বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে মধ্যস্থতা বিলে দেওয়ানি এবং বাণিজ্যিক বিবাদ আদালতে বা ট্রাইবুনালে না গিয়েই মধ্যস্থতার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার সুযোগ থাকছে। তার জন্য গড়ে তোলা হবে দ্য মিডিয়েশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থা। তারাই মধ্যস্থতার বিষয়টি তদারকি করবে, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। কাউকে মধ্যস্থতা করার জন্য না পেলে সংস্থা থেকে মধ্যস্থতাকারী নেওয়া যাবে। এমনিতে বিলে বলা আছে, বিবাদে জড়ানো দু’পক্ষ তাদের নিজেদের পছন্দমতো যে কাউকেই মধ্যস্থ হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। ১৮০ দিনের মধ্যে এই মধ্যস্থতা পর্ব মেটাতে হবে, তেমন প্রয়োজনে দ্বিতীয় দফায় আরও ১৮০ দিন মঞ্জুর করা হবে। তাতেও বিবাদ নিষ্পত্তি না হলে আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। আর, নিষ্পত্তি হলে তা আদালতের রায়ের মতোই মান্যতা পাবে। কোন কোন বিষয় মধ্যস্থতার আওতায় পড়বে না— যেমন অপরাধমূলক কাজকর্ম বা তৃতীয় পক্ষের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে এমন বিষয়— তার তালিকা বিলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরে ওই তালিকা সংশোধন করতে পারে। বিলটি ২০২১-এর ডিসেম্বরে একবার রাজ্যসভায় পেশ হয়েছিল। তার পর সেটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Narendra Modi India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy