মহারাষ্ট্রে ৬১। ছত্তীসগঢ়ে ১৯৭। গত তিন দিনে আত্মসমর্পণের ঢল দেখে বৃহস্পতিবার সন্তোষ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা— ‘‘আত্মসমর্পণ করে মূল স্রোতে ফিরতে চাইলে আপনারা স্বাগত। কিন্তু যাঁরা এখনও বন্দুক ছাড়বেন না, তাঁদের কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর রোষের মুখে পড়তে হবে।’’
বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ে ১৭০ মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন জানিয়ে সমাজমাধ্যমে শাহ লিখেছেন, ‘‘এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ছত্তীসগঢ়ের অবুঝমাঢ় এবং উত্তর বস্তার, যা এক সময় সন্ত্রাসের ঘাঁটি ছিল, আজ ‘নকশাল সন্ত্রাসমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও দক্ষিণ বস্তারে নকশালবাদের অস্তিত্ব রয়েছে, যা আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী শীঘ্রই নিশ্চিহ্ন করে দেবে।’’ ছত্তীসগঢ় এবং মহারাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে মোট ২৫৮ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন জানিয়ে শাহের বার্তা— ‘‘ভারতের সংবিধানের উপর আস্থা রেখে, হিংসার পথ পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।’’ অতীতে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করে শাহের দাবি, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ‘মাওবাদীমুক্ত’ হবে দেশ।
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ধারাবাহিক মোকাবিলা এবং উন্নয়ন কর্মসূচির ফলেই মাওবাদীদের সংগঠন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে বলে দাবি করেন শাহ। প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, এখন ভারতে ‘মাওবাদী উপদ্রুত’ জেলার সংখ্যা মাত্র তিন। ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের তিনটি জেলা— সুকমা, বিজাপুর রয়েছে এই তালিকায়। গত এপ্রিলে সংসদের বাজেট অধিবেশন-পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, রেড করিডর (‘মাওবাদী মুক্তাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত এলাকা) ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে ভারতে ১২৬টি জেলা ‘মাওবাদী উপদ্রুত’ ছিল। ২০২৫ সালের এপ্রিলে তা নেমে এসেছে ১৮টিতে। ছ’মাসের মধ্যে এক-ষষ্ঠাংশ হয়ে গেল মাওবাদী উপদ্রুত জেলার সংখ্যা।