Advertisement
E-Paper

কাশ্মীরে নিরপেক্ষ দল পাঠাতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জ

উত্তপ্ত কাশ্মীরে ইদের দিনে এক নতুন টানাপড়েন। যার শরিক হল খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা। প্রত্যাশিত ছিল যে ইদকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর তাস খেলবে ইসলামাবাদ। হয়েছেও তাই। আজ ইদকে কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন নওয়াজ শরিফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২২

উত্তপ্ত কাশ্মীরে ইদের দিনে এক নতুন টানাপড়েন। যার শরিক হল খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা।

প্রত্যাশিত ছিল যে ইদকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর তাস খেলবে ইসলামাবাদ। হয়েছেও তাই। আজ ইদকে কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন নওয়াজ শরিফ। আর নয়াদিল্লিকে চমকে দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা বলেছে, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ দলের সেখানে সফর করা উচিত। সে জন্য ভারত ও পাকিস্তান— দু’দেশেরই উচিত নিয়ন্ত্রণরেখা খুলে দেওয়া। ওই বিবৃতি আসতেই জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসে সাউথ ব্লক। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, লাগাতার সন্ত্রাস চালিয়ে কাশ্মীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে পাকিস্তান। আর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার উদ্দেশে সাউথ ব্লকের বার্তা, সন্ত্রাসবাদই হল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব চেয়ে ঘৃণিত চেহারা, সেটা বুঝতে যেন ভুল না হয়।

সকালেই শরিফ বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ইদকে আমি তাদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। কাশ্মীরের তৃতীয় প্রজন্ম স্বাধীনতার লড়াই চালাচ্ছে। জোর করে তাদের আওয়াজ বন্ধ করা যাবে না। যত দিন কাশ্মীরবাসীর ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্যা না মিটছে, তত দিন তাদের পাশে থাকব।’’ পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনও বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষ আত্মত্যাগের সুফল দ্রুত পেতে চলেছেন।’’ এর পরে মুখ খোলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। লড়াই চালিয়ে যাওয়া কাশ্মীরিদের সাফল্য প্রার্থনা করে নওয়াজ প্রশাসনকে কাশ্মীরে সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রায় ৭০ দিন ধরে অশান্ত কাশ্মীর। যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন, সেই হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ আখ্যা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শরিফ। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা অত্যাচার চালাচ্ছে— এই অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ একাধিক মঞ্চে সরব হয় পাকিস্তান। ২২টি দেশে দূত পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেয় শরিফ প্রশাসন। লাগাতার প্রচারে আজ সাফল্যের মুখ দেখেছে ইসলামাবাদ।

আজ ছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক বৈঠক। সেখানে এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের হাইকমিশনার জৈইদ রাদ অল হুসেন জানান, কাশ্মীরের মানুষের উপর ভারত বলপ্রয়োগ করছে— এমন অভিযোগ তাঁদের কাছে এসেছে। ভারত ও পাকিস্তান দু’পক্ষই দাবি করছে, অন্য পক্ষের এলাকায় সামরিক অত্যাচারে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। অল হুসেনের ব্যাখ্যা, ‘‘পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক দলের কাশ্মীর যাওয়া উচিত। যাদের উভয় এলাকায় যাওয়ার স্বাধীনতা থাকবে। এ জন্য দু’দেশেরই উচিত নিয়ন্ত্রণরেখা খুলে দেওয়া।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দলকে পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে ঘুরে দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। আজ অল হুসেন জানান, তিনি ভারতের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও ভারত কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে রাজি নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তব্য সামনে আসতেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘মানবাধিকার ভঙ্গের সব চেয়ে ঘৃণ্য চেহারা হল সন্ত্রাসবাদ। সেটাই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।’’ সাউথ ব্লকের যুক্তি, ‘‘উভয় পক্ষের তুলনা করাও অর্থহীন। কেননা, জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। আর পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে কূটনীতিককে প্রশাসনের মাথায় বসানো হয়েছে।’’

United Nation Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy