উত্তপ্ত কাশ্মীরে ইদের দিনে এক নতুন টানাপড়েন। যার শরিক হল খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা।
প্রত্যাশিত ছিল যে ইদকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর তাস খেলবে ইসলামাবাদ। হয়েছেও তাই। আজ ইদকে কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন নওয়াজ শরিফ। আর নয়াদিল্লিকে চমকে দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা বলেছে, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ দলের সেখানে সফর করা উচিত। সে জন্য ভারত ও পাকিস্তান— দু’দেশেরই উচিত নিয়ন্ত্রণরেখা খুলে দেওয়া। ওই বিবৃতি আসতেই জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসে সাউথ ব্লক। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, লাগাতার সন্ত্রাস চালিয়ে কাশ্মীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে পাকিস্তান। আর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার উদ্দেশে সাউথ ব্লকের বার্তা, সন্ত্রাসবাদই হল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব চেয়ে ঘৃণিত চেহারা, সেটা বুঝতে যেন ভুল না হয়।
সকালেই শরিফ বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ইদকে আমি তাদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। কাশ্মীরের তৃতীয় প্রজন্ম স্বাধীনতার লড়াই চালাচ্ছে। জোর করে তাদের আওয়াজ বন্ধ করা যাবে না। যত দিন কাশ্মীরবাসীর ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্যা না মিটছে, তত দিন তাদের পাশে থাকব।’’ পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনও বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষ আত্মত্যাগের সুফল দ্রুত পেতে চলেছেন।’’ এর পরে মুখ খোলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। লড়াই চালিয়ে যাওয়া কাশ্মীরিদের সাফল্য প্রার্থনা করে নওয়াজ প্রশাসনকে কাশ্মীরে সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।