সুদীক্ষা ভাটি।
দুর্ঘটনা নাকি খুন, উত্তরপ্রদেশের এক কৃতী ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। যদিও পুলিশের দাবি, এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার তা মানতে নারাজ। তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।
২০১৮-য় দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ পেয়েছিলেন সুদীক্ষা ভাটি নামে ওই ছাত্রী। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এ একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পেয়ে পড়াশোনাও করছিলেন তিনি। করোনার জেরে গত জুনে বাড়ি ফিরে আসেন। অগস্টে ফের আমেরিকায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই সোমবার বুলন্দশহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশের কাছে সুদীক্ষার পরিবার জানিয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু নথি আনার জন্য ওই দিন কাকার বাইকে চেপে বুলন্দশহরের সিকান্দ্রাবাদে একটি স্কুলে যাচ্ছিলেন সুদীক্ষা। তাঁদের দাবি, পথে বেশ কয়েক জন যুবক বাইকে সুদীক্ষা ও তাঁর কাকাকে অনুসরণ করে। এমনকি উত্ত্যক্তও করতে থাকে সুদীক্ষাকে। তারা বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাচ্ছিল।
সুদীক্ষার কাকা সত্যেন্দ্র ভাটির দাবি, “বাইক নিয়ে ওই যুবকরা আমাদের ওভারটেক করে। স্টান্ট দেখাতে থাকে। আমি বাইকটা আস্তে করে দিই। তখনই পিছন থেকে ওই যুবকদের মধ্যে এক জন বাইকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে। সুদীক্ষা ও আমি দু’জনেই ছিটকে পড়ে যাই। সুদীক্ষার মাথায় চোট লাগে।” সত্যেন্দ্রর আরও দাবি, যে বাইকটি ধাক্কা মেরেছিল, তার আরোহীকে চিনতে পারেননি তিনি। ধাক্কা মেরেই আরোহী পালায়।
আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাড়ির কাছেই খুন বিজেপি নেতা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট চাইলেন যোগী
যদিও জেলাশাসক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কাকা নয়, বাইকটি চালাচ্ছিল সুদীক্ষার ভাই। সে নাবালক। তা ছাড়া হেনস্থার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বুলন্দশহর পুলিশ আধিকারিক অতুল শ্রীবাস্তব বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আমাদের একটি দল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, উল্টো দিক থেকে একটি রয়্যাল এনফিল্ড আসছিল। ট্রাফিকের কারণে সেটি হঠাৎ ব্রেক কষে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সুদীক্ষার ভাইও কোনও হেনস্থার কথা বলেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy