প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। বাড়ি ফিরে সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার এই ঘটনায় ধৃত ২ জনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সে সময় এক অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁর উপর গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণে দুই অভিযুক্তের নাম লাখান এবং তাঁর সহযোগী বিকাশ। শনিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় লাখান এক পুলিশকর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে নেন। তার পর শূন্যে গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে তাড়া করে কাপসাদ গ্রামের কাছে ধরে ফেলা হয়। সে সময়ই তাঁর পা লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ।
দশম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল লাখান, বিকাশ-সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে। পুলিশে দায়ের করা এফআইআরে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টের সময় বেরিয়ে বিকেল ৫টা ১৫ নাগাদ বাড়ি ফেরে ছাত্রীটি। বাড়ি ফিরেই ধর্ষণের কথা জানায় ওই নির্যাতিতা। এর কিছুক্ষণ পরই বিষ খায় সে। হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয় তার। পুলিশ জানিয়েছিল, ছাত্রীটির লেখা সুইসাইড নোটে ৪ অভিযুক্তের নাম উল্লেখ ছিল। লাখান এবং বিকাশ তাদের মধ্যে অন্যতম।
এই ঘটনার পর যোগীরাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ঘটনার জন্য এক হাত নেন। পাশাপাশি যোগীর আমলে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মাত্রা ছাড়া হয়েছে বলেও সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy