অঙ্কিতা ভাণ্ডারীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন বিজেপি নেতার ছেলে।
উত্তরাখণ্ডে সাসপেন্ডেড বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্টে নিত্য দিন চলত মাদক সেবন আর দেহব্যবসা। দাবি তুললেন ওই রিসর্টেরই প্রাক্তন কর্মীরা। প্রসঙ্গত, সেখানেই রিসেপশনিস্টের কাজ করতেন অঙ্কিতা ভাণ্ডারী, যাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতার ছেলে।
হৃষীকেশের ওই রিসর্টের প্রাক্তন কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিত তাঁদের ‘মানসিক অত্যাচার’ করতেন। কেউ চাকরি ছাড়তে চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘চুরি ও হেনস্থার মিথ্যা মামলা’ আনার চেষ্টা করত। অঙ্কিতার মৃত্যুর পর আতশকাচের তলায় রয়েছে ওই রিসর্ট। এই নিয়ে তদন্তে নেমে উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, রিসর্টের প্রাক্তন কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।
পাওরি গঢ়বাল জেলার গঙ্গা-ভোগপুর এলাকায় রয়েছে পুলকিতের রিসর্ট। সেখানে কাজ করতেন ঋষিতা এবং তাঁর স্বামী বিবেক। ঋষিতা রিসেপশনিস্টের কাজ করতেন। আর বিবেক ছিলেন হাউসকিপার। দু’মাস আগে চাকরি ছেড়ে দেন তাঁরা। অগস্টে সেখানে রিসেপশনিস্টের কাজে যোগ দেন অঙ্কিতা। ঋষিতা দাবি করে বলেছেন, ‘‘দেহব্যবসা, মাদক সেবনের মতো বেআইনি কাজ হতে দেখেছি রিসর্টে।’’ রিসর্টে যখন তাঁরা কাজ করতেন, তখন নিজেদের মোবাইলে বেশ কিছু ছবি, ভিডিয়ো তুলেছিলেন। সেগুলোই এখন ভাইরাল। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, পুলকিত এবং তাঁর সহকারী অঙ্কিত গুপ্ত তাঁদের হেনস্থা করতেন। কোনও মতে চাকরি ছেড়ে পালিয়েছিলনে তাঁরা।
ঋষিতার কথায়, ‘‘পুলিকত প্রায়ই রিসর্টে বিশেষ অতিথিদের নিয়ে আসতেন। সঙ্গে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা আসতেন। ওই মহিলাদের সঙ্গে নিজেদের ঘরে যৌনতা লিপ্ত হতেন অতিথিরা। ওই অতিথিদের দামি মদ দেওয়া হত। সঙ্গে গাঁজা-সহ বিভিন্ন মাদক। ওঁরা আমাকেও এর মধ্যে জড়াতে চাইতেন।’’ বিবেকের অভিযোগ, কোনও মতে দেড় মাস রিসর্টে কাজ করে ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। সেটা জানানোর পর তাঁকে মারধর করেছিলেন পুলকিত। বিবেক আরও বলেন, ‘‘ওঁরা চুরির অভিযোগ এনে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছিলেন।’’
সোমবারই অঙ্কিতার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এসেছে। জানা গিয়েছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শরীরে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, অঙ্কিতাকেও জোর করে দেহব্যবসায় জড়াতে চেয়েছিলেন পুলকিত। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করেন। শেষে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy