Advertisement
E-Paper

দিল্লিতে সত্যিই কি ৫২ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল তাপমাত্রা? কী ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু?

মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে তাপমাত্রা নজরদারি কেন্দ্র রয়েছে ২০টি। তার মধ্যে ১৪টি নজরদারি কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫-৫০ ডিগ্রির মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ ১৬:৫৩
গরমে পুড়ছে দিল্লি। ছবি: পিটিআই।

গরমে পুড়ছে দিল্লি। ছবি: পিটিআই।

৪৭..৪৮..৪৯…৫২!

আর ৫২ হতেই হইচই পড়ে যায় গোটা দেশে। এখানে শুধুমাত্র সংখ্যা নয়, এই সংখ্যা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে দিল্লির তাপমাত্রাকে। ৪৭-৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই ঘোরাফেরা করছিল রাজধানীর তাপমাত্রা। কিন্তু ২৯ মে আচমকাই তাপমাত্রা একেবারে ৫০ ছাড়িয়ে প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতেই হুলস্থুল পড়ে যায় গোটা দেশে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও রাজধানীর এই নজিরবিহীন তাপমাত্রা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লি।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্বাসও যেমন বাড়ছিল, তেমনই আবার সন্দেহও। সত্যিই কি রাজধানীর তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল? যদিও তাপমাত্রার মাপকযন্ত্রতে সেই সংখ্যাই দেখিয়েছিল। যে যন্ত্র প্রতিদিনের তাপমাত্রা দর্শায়, সেই যন্ত্র হঠাৎ করে ভুল সংখ্যা দেখাতে পারে না! এমন প্রশ্নও ঘোরাফোরা করছিল। প্রসঙ্গত, ২৯ মে দিল্লির মুঙ্গেশপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (তাপমাত্রা মাপক যন্ত্রের হিসাবে)।

কিন্তু এই তাপমাত্রা নিয়ে যখন হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু শনিবার জানালেন, দিল্লিতে যে ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, তা ভুল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ৩ ডিগ্রি বেশি দেখিয়েছিল ওই দিন। কিন্তু সেই ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধান করেছেন বিজ্ঞানীরা। মুঙ্গেশপুরের তাপমাত্রা প্রায় ৫৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলায় স্তম্ভিত হয়েছিলেন আবহবিজ্ঞানীরা। তড়িঘড়ি ভূবিজ্ঞানমন্ত্রক এবং মৌসম ভবন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গোটা দিল্লি জুড়ে যখন তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সেই সময় তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও পরবর্তী কালে জানানো হয়, মুঙ্গেশপুরে ২৯ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩ ডিগ্রি বেশি দেখানোয় সেটি ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়।

মুঙ্গেশপুরের ঘটনার পর পরই ওই দিন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে তাপমাত্রা নজরদারি কেন্দ্র রয়েছে ২০টি। তার মধ্যে ১৪টি নজরদারি কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫-৫০ ডিগ্রির মধ্যে। মুঙ্গেশপুরের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান একেবারেই অবিশ্বাস্য। এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Heatwave Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy