এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে মুখ খুললেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব করার ঘটনায় এ বার মুখ খুললেন টাটা শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। রবিবার টাটা গোষ্ঠীর তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কার্যত তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ঘটনায় পদক্ষেপ করতে দেরি করেছে উড়ান সংস্থা। চন্দ্রশেখরণ জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা আরও দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারতেন। যে ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়, সে ভাবে তা করা হয়নি বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, একদা রাষ্ট্রায়ত্ত উড়ান সংস্থাটিকে কিছু দিন আগেই কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী। তাই টাটার কোনও পদাধিকারী এ বিষয়ে মুখ খোলেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ এবং কৌতূহল ছিল সকলেরই। চন্দ্রশেখরণ ওই বিবৃতিতে চন্দ্রশেখরণ লিখেছেন, “এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত হওয়া উচিত ছিল। যে ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা উচিত ছিল, আমরা তা করতে পারিনি।” টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন দুই উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার এশিয়ার নামোল্লেখ করে তিনি জানান, এই দুই সংস্থাই যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য সব দিক পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রশেখরণ। প্রসঙ্গত, বিমানে প্রস্রাব করার এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। যে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করা হয়, তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ ভেজা আসনেই বসে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিমান অবতরণের পর ওই বৃদ্ধার অনিচ্ছা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তির মুখোমুখি দাঁড় করানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার সর্বোচ্চ পদাধিকারী হিসেবে মুখ খুললেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় ছিলেন আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা শঙ্কর। অভিযোগ, ওই অবস্থায় তিনি হঠাৎই প্যান্টের জিপ খুলতে শুরু করেন। তার পর সকলকে অবাক করে দিয়ে এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। ওই বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শঙ্করের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করেছিল। শনিবার তাঁকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy