পাকিস্তানের ধারাবাহিক ড্রোন হামলার জবাবে এ বার কৌশল বদলাল ভারতীয় সেনা। শুক্রবার গভীর রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালানো হয়েছে, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পঞ্জাব প্রদেশে পাক বায়ুসেনার তিনটি ঘাঁটিতে (রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি পৃথক ‘প্রশাসনিক ক্ষেত্র’ হলেও আদতে পঞ্জাব প্রদেশেরই অংশ। সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে যাদের অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’)।
পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি শনিবার জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। কিন্তু তাতে পাক বায়ুসেনার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তাঁর দাবি। এর মধ্যে নুর খান বিমানঘাঁটি কার্যত পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র। সি-১৩০ হারকিউলিস, সিএন-২৩৫-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ বিমনের মাধ্যমে এখান থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রসদ এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি আকাশপথে নজরদারি ও প্রত্যাঘাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘এয়ার মোবিলিটি উইং’ এবং ‘এয়ার ডিফেন্স কমান্ড’-এর সদর দফতরও রয়েছে মধ্যে নুর খান বিমানঘাঁটিতে। ওয়াঘা-অটারী সীমান্তের অদূরে শোরকোটে পাক বায়ুসেনার রফিকি বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন জেএফ-১৭ এবং মিরাজ় ৫পিএ যুদ্ধবিমানের বহর। রয়েছে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং কয়েকটি হেলিকপ্টার ইউনিটও। অন্য দিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অদূরে চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটি হল পাক বায়ুসেনার ড্রোনবহরের সদর। এই বিমানঘাঁটিতে পাঁচটি ড্রোন স্কোয়াড্রনই গত তিন দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ও সীমান্ত লঙ্ঘন করে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে বলে সেনা সূত্রের খবর।