হরিয়ানাকাণ্ডে নয়া মোড়! ‘আত্মঘাতী’ আইপিএস অফিসার তথা এডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের আমলা স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ‘আত্মঘাতী’ এএসআই সন্দীপ লাথেরের স্ত্রী। জড়াল এলাকার আম আদমি পার্টির বিধায়ক অমিত রতনের নামও।
মঙ্গলবার একই কায়দায় সার্ভিস রিভলবার দিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন রোহতক পুলিশের সাইবার সেলে নিযুক্ত এএসআই সন্দীপ। ঘটনাচক্রে, নিহত আইপিএসের মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন সন্দীপ। এর পর বুধবার রাতেই এ নিয়ে চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সন্দীপের স্ত্রী। এফআইআরে নাম রয়েছে পূরণ কুমারের স্ত্রী তথা আইএএস অমনীত কুমার, তাঁর ভাই, হেড কনস্টেবল সুশীল কুমার এবং পঞ্জাবের আপ বিধায়ক অমিত রতনের।
আরও পড়ুন:
পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে লাগাতার হেনস্থা ও জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ তুলে গত ৭ অক্টোবর নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন ২০০১ ব্যাচের আইপিএস পূরণ। দীর্ঘ সুইসাইড নোটে পুলিশের আট কর্তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ বিস্তারিত লিখে যান তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তা নিয়ে সরব হন পূরণের স্ত্রী অমনীত। ওই পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করেন অমনীত। বিতর্কের আবহে রোহতকের ‘অভিযুক্ত’ পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়ার বদলি হয়ে যায়। ছুটিতে পাঠানো হয় রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ সিংহ কপূরকেও। কিন্তু মামলার মোড় ঘুরে যায় ১৪ অক্টোবর। ওই দিন রহস্যজনক ভাবে মারা যান পূরণের মৃত্যু মামলার তদন্তকারী এএসআই সন্দীপ। তিনিও একটি সুইসাইড নোট লিখে যান। তিন পাতার সেই চিঠিতে লেখা, ‘আত্মঘাতী’ আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। এর পরেই অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসার ভয়েই আত্মহত্যা করেছেন পূরণ। তা নিয়ে জট এখনও কাটেনি।