Advertisement
E-Paper

আবার ওড়িশা! ছাগল চরানোর সময় মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, ১৭ দিনে সাতটি ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। নির্যাতিতার বর্ণনার ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আবার সেই ওড়িশা। এ বার রাজ্যের জাজপুরে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। বৈরি থানার অন্তর্গত ভালুখাই জঙ্গলের কাছে ছাগল চরাচ্ছিলেন মহিলা। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরেন দুই যুবক। মুখে চাপা দিয়ে মহিলাকে টানতে টানতে জঙ্গলে নিয়ে যান। তার পর তাঁরা ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কোনও রকমে বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারকে ঘটনাটি জানান মহিলা। তার পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। নির্যাতিতার বর্ণনার ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈরি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অংশুমালা দাস। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তেরা নির্যাতিতার পরিচিত। এই নিয়ে গত ১৭ দিনের মধ্যে চার জেলায় সাতটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল ওড়িশায়। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গঞ্জাম

গত ২৮ জুন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গঞ্জাম জেলায়। অভিযুক্ত ওই ছাত্রীর দূর-সম্পর্কের এক আত্মীয়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৭ জুন গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে বন্ধুর সঙ্গে উৎসব দেখতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। তাঁরা সৈকতে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় ১০ জন এসে তাঁদের ঘিরে ধরেন। তার পর তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে বেঁধে রেখে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ময়ূরভঞ্জ

গত ২৫ জুন ময়ূরভঞ্জ জেলায় এক কিশোরীকে এক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধৃত অভিযুক্ত গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা।

১৯ জুন এই জেলাতেই এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

গত ২৫ জুন এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এই জেলার করঞ্জই গ্রামে। নির্যাতিতা স্থানীয় একটি মন্দির থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান তিন ব্যক্তি। মহিলা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর মুখ চাপা দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তার পর কাছেরই একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

কেওনঝর

গত ১৮ জুন কেওনঝর জেলার তেঁতলাপাশি গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানখেতের পাশে একটি গাছে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দেহে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy