বন্যায় ভাসছে বেঙ্গালুরু। ছবি: টুইটার
বন্যাবিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। জলমগ্ন রাস্তায় তাঁর মোটরবাইক পিছলে যায়। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম আখিলা (২৩)। বাইক পিছলে গেলে কাছেই একটি বিদ্যুতের খুঁটি আঁকড়ে ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
বন্যাবিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে কার্যত ভাসছে তথ্যপ্রযুক্তি নগরী। জলমগ্ন শহরে বেহাল যাতায়াত ব্যবস্থা। এমনকি রাস্তায় নৌকাও নামাতে দেখা গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সেখানকার স্বাভাবিক জনজীবন।
জানা গিয়েছে, বন্যার কারণে বেঙ্গালুরুর একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলের পাম্প ডুবে যাওয়ায় শহরের কিছু কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। জলসঙ্কট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে।
গত সপ্তাহে এই বেঙ্গালুরুতেই জলমগ্ন রাস্তায় লোকজনকে মাছ ধরতে দেখা গিয়েছিল। তবে গত তিন দিনে বন্যা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে, সেখানে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য মানুষ ট্র্যাক্টর কিংবা ক্রেন ভাড়া করছেন। এক মাত্র সেই ধরনের গাড়িই জলের উপরে রয়েছে।
রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারথুর, বেল্লান্দুর, কে আর মার্কেট, সিল্ক বোর্ড জাংশন এলাকা। বেলাগেরে-পানাথুর রোড ছোটখাটো নদীতে পরিণত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষকে নৌকার মাধ্যমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ দিকে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের রাজধানীর এই বেহাল দশার জন্য পূর্ববর্তী সরকারকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। প্রাক্তন সরকারের ভুল নগর পরিকল্পনার জেরেই শহরের এই দশা বলে জানিয়েছেন তিনি। জল নিষ্কাশনের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কর্নাটক সরকার। শহরের নালাগুলি পরিষ্কারের জন্য দেওয়া হয়েছে আরও ৩০০ কোটি টাকা।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, বেঙ্গালুরুর আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা এখনই নেই। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্নাটকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তর কন্নড়, দক্ষিণ কন্নড়, শিবমোগ্গাতে হলুদ সতর্কতা জারি। উপকূলও ভাসবে বলে পূর্বাভাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy