পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরে পাকিস্তানের ছোড়া গোলায় বাড়ি পুড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক মহিলা। গত ৯ মের ঘটনা। তিন দিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সুখবিন্দর কৌর নামে ওই মহিলার। পাকিস্তানের ড্রোন হামলা জম্মু কাশ্মীরে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিক। তার বাইরে পাক হামলায় পঞ্জাবেই প্রথম কোনও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল।
শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোনে পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেই বাড়ির বাসিন্দা লক্ষ্মীন্দ্র সিংহ, তাঁর ভাই মনু সিংহ এবং স্ত্রী ঝলসে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে সময় লক্ষ্মীন্দ্র খাওয়াদাওয়া সেরে বিছানায় শুয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুখবিন্দর রান্নাঘরে কাজ সারছিলেন। অভিযোগ, এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ থাকলেও সুখবিন্দরের বাড়িতে আলো জ্বলছিল। পিটিআই জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় বাড়িতে আগুন লাগার পরে তিন জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় সুখবিন্দরের।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। তার পরেই পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের জন্য অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার পর থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ২৫টি জায়গা লক্ষ্য করে ড্রোন ছুড়তে থাকে পাকিস্তান। যদিও তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের এই হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুঞ্চে ১২ বছরের দুই যমজ ভাই-বোন আয়ান খান এবং জোয়ার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে পাক সেনার ছোড়া গোলা এসে পড়ে জ়োয়া, আয়ানদের পুঞ্চের ভাড়াবাড়ির অদূরে। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে জ়োয়া এবং আয়ান। তাদের বাবা রামিজ় খানও পাক হামলায় আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শেলের টুকরো ঢুকে গিয়ে তাঁর যকৃতের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। হামলায় মারা গিয়েছেন জ়োয়াদের কাকা ও কাকিমাও।