Advertisement
E-Paper

বিবাহিত কন্যার আবার বিয়ে দিলেন বাবা! দ্বিতীয় স্বামীর হাতে রাখি বেঁধে পালালেন তরুণী

পাত্র পছন্দ না হওয়ায় কন্যার বিয়ে মেনে নিতে পারেননি বাবা। তিনি জোর করে তরুণীর আবার বিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই তরুণী দ্বিতীয় স্বামীর হাতে রাখি বাঁধেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০৮:৩৩
Woman ties rakhi on her second husband’s hand after she was forced to remarry.

প্রতীকী ছবি।

নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন তরুণী। কিন্তু সেই পাত্র তাঁর বাবার পছন্দ হয়নি। তাই জোর করে দ্বিতীয় বার তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় স্বামীর হাতে রাখি বেঁধে পালিয়ে গিয়েছেন ওই তরুণী।

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী রাজস্থানের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই স্কুলের এক সহপাঠীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কলেজের পড়া শেষ করে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি তরুণীর পরিবার। যুগল বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের জোর করে আলাদা করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস কন্যাকে বন্দি করে রাখেন তরুণীর বাবা।

যুবক ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় এই সম্পর্কে তাঁর আপত্তি ছিল। ছত্তীসগঢ়ের এক যুবকের সঙ্গে এর পর তিনি কন্যার বিয়ে দেন। তরুণীর অভিযোগ, জোর করে তাঁকে দ্বিতীয় বার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর কাছে পুরনো সম্পর্কের কথা তিনি গোপন করেননি। বরং তাঁর হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছেন। রাখিবন্ধন সাধারণত ভাই এবং বোনের সম্পর্কের স্বীকৃতি বহন করে।

দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও তুলেছেন তরুণী। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং প্রথম স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশের সাহায্যও চান। সমাজমাধ্যমে নিজের অবস্থা বর্ণনা করে দীর্ঘ পোস্টও করেন তরুণী। যা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।

এ দিকে, তরুণীর দ্বিতীয় স্বামীর অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তরুণীর প্রথম বিয়ের কথা বিয়ের আগে তাঁকে জানানো হয়নি। জানলে জোর করে তিনি বিয়ে করতেন না। তরুণীর উপর অত্যাচারের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের অন্তগড় থানার ইন-চার্জ জানিয়েছেন, তরুণীকে তাঁরা উদ্ধার করেছেন। আপাতত তাঁকে ছত্তীসগঢ়ের বাড়িতেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Marriage Weddings Rajasthan Chhattisgarh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy