Advertisement
E-Paper

‘মরব, তবু পাকিস্তান ফিরব না’! প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে মন্তব্য ভারতে আসা সেই পাক বধূর

চার সন্তানের হাত ধরে পাকিস্তানে রাজমিস্ত্রি স্বামীকে ছেড়ে তরুণ প্রেমিকের জন্য ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন পাক গৃহবধূ সীমা। জানাজানি হতে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৫
Woman who infiltrate in India says, she will rather die than returning to Pakistan

ভারতীয় প্রেমিক শচীনের সঙ্গে পাক বধূ সীমা। ছবি: এএফপি।

মরে যাবেন তবু তিনি পাকিস্তানে ফেরত যাবেন না! এমনটাই জানালেন প্রেমিকের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী পাক বধূ সীমা হায়দার। তাঁর দাবি, তিনি কোনও মতেই প্রেমিক শচীন মিনাকে ছাড়তে রাজি নন। তাতে যদি তাঁকে মরতেও হয় তিনি মরবেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কোনও ইচ্ছা নেই। তাঁর আশঙ্কা, সে দেশে ফিরলেই তাঁকে খুন করা হবে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সীমা বলেন, ‘‘শচীনকে ছেড়ে চলে যাওয়ার থেকে ভাল আমি যেন মরে যাই।’’

চার সন্তানের হাত ধরে পাকিস্তানে রাজমিস্ত্রি স্বামীকে ছেড়ে তরুণ প্রেমিকের জন্য ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন পাক গৃহবধূ সীমা। জানাজানি হতে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন। জেল থেকে বেরনোর পর থেকে তিনি সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জেল থেকে বেরিয়েই সীমা জানিয়েছিলেন, তিনি আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না। প্রেমিককে বিয়ে করে থেকে যেতে চান ভারতেই। নিজেকে ইতিমধ্যে ভারতীয় বলেও দাবি করে বসেছেন সীমা। তাঁর দাবি, অন্তর থেকে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে ফেলেছেন। শচীনের পরিবারের কথা ভেবে নিরামিষ খেতেও শুরু করেছেন তিনি। পাক বধূ জানিয়েছেন, তিনি প্রেমিকের সঙ্গে ভারতে নতুন করে সংসার পাততে চান। যদিও তাঁর সন্তানরা চাইলে পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারে বলেও সাফ জানিয়েছেন সীমা।

২০১৯ সালে পাকিস্তান থেকে পাবজি খেলার সূত্রে নয়ডার ২২ বছরের তরুণ শচীনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। আলাপ থেকে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সীমার স্বামী সৌদিতে থাকতেন। তাই সন্তানদের নিয়ে তাঁকে একাই থাকতে হত। সেই একাকিত্ব জন্ম দেয় প্রেমের। অবশেষে অনেক পরিকল্পনা করে তিন বছরের প্রেমের পর নেপাল হয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। বেশ কয়েক দিনের লুকোছাপার পর গত ৪ জুলাই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পেশায় মুদি দোকানের কর্মী প্রেমিক শচীনকেও গ্রেফতার করা হয়। সীমাকে থাকতে দিয়েছেন বলে গ্রেফতার হন শচীনের বাবা। সীমার সন্তানেরাও তাঁর সঙ্গে জেল হেফাজতে ছিল। তবে গত শুক্রবার দু’জনেই জামিন পেয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সীমা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা প্রথমে বন্ধু হয়েছি। প্রতি দিন সকাল-বিকাল মেসেজে কথা বলতাম আমরা। এর পর আমাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। আমি এই প্রেম হারাতে চাই না।’’

জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরে থেকেই সীমা এবং শচীন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন। সীমাকে দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শচীনের বাড়িতে। তবে অভিযোগ, প্রাণনাশের বেশ কয়েকটি হুমকিও পেয়েছেন যুগল।

সীমা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর পাকিস্তানি স্বামী গোলাম হায়দারের সঙ্গে ২০১৪ সালে তাঁর বিয়ে হয়। গোলাম তাঁকে প্রায়ই অত্যাচার করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন সীমা। অন্য দিকে, গোলাম ভিডিয়োর মাধ্যমে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। স্ত্রীকে সুরক্ষিত ভাবে রাখার জন্য ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

Pakistan lover infiltration arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy