ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে দলের ভিতরে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি তাঁকেই মুখ করে বিধানসভা ভোটে লড়বে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই চাপের মুখেই আজ ‘উপেক্ষিত’ উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। সেই সময়ে লখনউয়ে মৌর্যের বাসভবনে হাজির ছিলেন সঙ্ঘ ও বিজেপির আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
সরকারের সাড়ে চার বছর কেটে যাওয়ার পর আজই প্রথমবার উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যোগীর পৌঁছে যাওয়ার পিছনে কারণও রয়েছে। যোগীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, মৌর্যের পুত্রের বিয়ে হয়েছে গত মাসে। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লখনউয়ের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিতরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ব্যর্থতা, করোনা মোকাবিলায় ঢিলেঢালা ভাব যোগীর নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সরকারের কাজের হিসেবনিকেষ করতে গিয়ে মৌর্যের মতো নেতারা দলের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রিসভার অনেকেরই অভিযোগ, ঠিক ভাবে কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে গত কালই বিজেপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন— ভোটের পরেই তা ঠিক হবে।
যোগীর নেতৃত্বে সাড়ে চার বছর সরকার চালানোর পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে সঙ্ঘ পরিবারে। দত্তাত্রেয় হোসাবলে-সহ সঙ্ঘের কয়েকজন প্রথমসারির নেতা কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে পৌঁছেছেন। দিল্লি থেকে মোদী-অমিত শাহেরা লখনউয়ে পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষকে। গত কাল ও আজ উত্তরপ্রদেশের বিজেপির শীর্ষ নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। ভোটের মুখে বিক্ষোভ আটকাতে মরিয়া সঙ্ঘের নেতারা। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, লখনউয়ের ফলাফলের উপর ২৪-এর দিল্লির ভোটের সমীকরণ নির্ভর করবে।
উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরও। যোগীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মোদী তাঁর এক সময়ের সহযোগী, প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকে রাজ্যের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সেখানে পাঠিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সহ-সভাপতি শর্মা রাজ্যে পৌঁছেই দাবি করেছেন, মোদীর প্রতি ভালবাসার কারণে এ বারও বিজেপিকে জেতাবে ভোটাররা। তাঁর দাবি, লখনউয়ে ক্ষমতায় আসতে মোদীর নামই যথেষ্ট। আর যোগী? চাপের মুখে আপাতত তিনি এত দিনের উপেক্ষিতদের মন জয়ের চেষ্টায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy