পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভারতে আবার জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানের পক্ষে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হবে বলে সতর্ক করল আমেরিকা। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়িয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা এবং পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। গত কাল হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা চাই, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করুক। বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে। যাতে ওই আঞ্চলিক পরিস্থিতি নতুন করে অশান্ত হয়ে না ওঠে।’’
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরই নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, পাকিস্তানের মাটিতে বসেই ওই সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা হয়েছিল। ভারতের জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি হলে অবস্থা যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে তা ইসলামাবাদকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ওই মার্কিন আধিকারিক বলেন, ‘‘জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পদক্ষেপ না করার ফলে ভারতে যদি আবার সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, তা হলে ইসলামাবাদের পক্ষে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠবে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকবে। যা উভয়ের কাছে ভয়ঙ্কর।’’ ওই মার্কিন আমলা এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হোক তা আমেরিকা চায় না।
প্রথম তালিকায় ২৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভ-বিতর্ক শুরু রাজ্য বিজেপির অন্দরে
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ইমরান খান সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তাতে যে ট্রাম্প প্রশাসন সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নেহাতই প্রাথমিক স্তরের। কয়েক জন জঙ্গির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিছু জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।’’ সম্প্রতি ঋণের বোঝা কমাতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। ওই মার্কিন আধিকারিকের দাবি, সন্ত্রাস দমনে অনীহা থাকলে পাকিস্তানের পক্ষে ওই সাহায্য পাওয়া কঠিন হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy