ঢাকার আদালতে আব্দুল মাজেদ (মাঝখানে)। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে প্রাণদণ্ড পাওয়া আসামি ক্যাপ্টেন (বহিঃ) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ দিন তাঁর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে রাজধানীর একটি আদালত। লাল শালুতে মুড়ে সেই পরোয়ানা বিকেলেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেরানিগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে কারা-সূত্রে খবর, রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছেন মাজেদ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে আদালতের কাজ বন্ধ থাকলেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জেলা ও দায়রা আদালত খুলিয়ে এ দিন সেখানে মাজেদকে হাজির করা হয়। ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যায় যুক্ত থাকার দায়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট যে ১২ জনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছিল, মাজেদ তাঁদের এক জন। পাঁচ জনের ফাঁসি হয়ে গেলেও মাজেদ-সহ ৬ জন পলাতক ছিলেন। এ দিন তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ও রায় পড়ে শোনান জজ। পরে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকায় প্রাণদণ্ড রদ চেয়ে আবেদনের সুযোগ আর পাবেন না মাজেদ।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতারের দাবি করে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ বছর পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়ে থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। পুলিশের দাবি ১৬ মার্চ বাংলাদেশে ঢোকেন মাজেদ। ভারতই তাঁকে আটক করে পাঠিয়েছে কি না, প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমরা তাঁকে বাংলাদেশেই গ্রেফতার করেছি। হয়তো করোনার ভয়ে চলে এসেছে।” মন্ত্রী এই মন্তব্যও করেছেন, মুজিব-শতবর্ষে এটি একটি ‘শ্রেষ্ঠ উপহার’।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy