প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের ক্রমাগত মিউটশন বা পরিবর্তন ঘটে চলেছে। যার জেরে সময়ের সঙ্গে আরও বাড়ছে তার সংক্রমণ ক্ষমতা। বুধবার এমনটাই দাবি করেছেন হিউস্টনের এক দল গবেষক। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণার বিশদ বিবরণ। এ দিকে বছরের শেষেই প্রতিষেধক নিয়ে আশার বাণী শোনানোর লড়াইয়ে যুযুধান আমেরিকা, রাশিয়া। যদিও শেষমেশ সেই স্বপ্ন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস। তাঁর কথায়, ‘‘যে প্রতিষেধকগুলি নিয়ে গবেষণা চলছে, তার মধ্যে আদৌ কোনওটা কার্যকরী হবে কি না, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।’’ অবশ্য সঙ্গে তিনি এ দিন এ-ও বলেছেন যে, যত বেশি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের পরীক্ষা হবে, ততই কার্যকরী প্রতিষেধক পাওয়ার সুযোগ বাড়বে।
মিউটেট করে সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়ালে তাতে সার্স-কোভ-২-র মতো করোনাভাইরাসের মারণ ক্ষমতা কি বাড়বে? এই বিষয়ে অভয়ই দিয়েছেন হিউস্টনের ওই বৈজ্ঞানিক দলটি। মিউটেশনের ফলে মারণ ক্ষমতায় তারতম্য আসেনি বলেই মত তাঁদের।
এই গবেষণার পর্যালোচনা করে মার্কিন ভাইরোলজিস্ট ডেভিড মোরেন্স বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে। মিউটেশনের ফলে তার সংক্রমণের ক্ষমতাও বেড়েছে নিঃসন্দেহে। সময়ে সময়ে হাত স্যানিটাইজ় করা, মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি ইত্যাদির সঙ্গে সাড়া দিয়েই ভাইরাসটিতে বিবর্তন আসছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। যদিও এই মিউটেশনের কারণেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নয়া দিশা মিলতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তবে শুধু একটি মাত্র গবেষণার ভিত্তিতে উপসংহারে পৌঁছনোর তাড়াহুড়ো না করাই মঙ্গল বলে মত ডেভিডের।
আরও পড়ুন: ২০৮ কেজি ওজন আর অনেক অসুখ নিয়েও করোনা জয়
প্রতিষেধক না-আসা পর্যন্ত আপাতত করোনা মোকাবিলায় প্রথম ছাড়পত্র পেয়েছে ফ্যাভিপিরাভিয়ার গোত্রের ওষুধ। আপাতত এর উপরেই সবচেয়ে বেশি ভরসা রাখছেন চিকিৎসকেরা। ওই গোত্রের অন্যতম ওষুধ অ্যাভিফ্যাভিয়ার ১৭টি দেশকে দেওয়ার কথা জানাল রাশিয়া। আর্জেন্টিনা, ব্রাজ়িল, চিলি, পানামা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইকুয়েডর, কুয়েত এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে সেই তালিকায়। বেলারুস, বলিভিয়া, কাজাকস্তান, উজবেকিস্তানের মতো একাধিক দেশকে আগেই ওই ওষুধ পাঠিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: কপাল খুলে দিল করোনা, অতিমারির সৌজন্যেই কোটিপতি দম্পতি
অন্য দিকে অতিমারি পরিস্থিতির জেরে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সুরাহা দিতে বৃহস্পতিবার তাঁর ‘উইন্টার ইকনমি প্ল্যান’-এর অন্তর্গত নয়া স্কিমের ঘোষণা করলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। ঋষির ঘোষিত ‘কোভিড ১৯ এমারজেন্সি জব্স সাপোর্ট স্কিম’ অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে শুরু করে ছ’মাস নির্দিষ্ট হিসেব মেনে ঘণ্টা অনুযায়ী কর্মীদের বেতনের অনেকটাই আসবে সরকারের তরফে। কোনও কর্মীর দুই-তৃতীয়াংশ কাজের সময়ের বেতন সরকারের তরফে দিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষের উপরেও বাড়তি চাপ পড়বে না এবং কর্মীটিরও চাকরি যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy