নেতা: মন্টানার এক প্রচারসভায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছিল লুই ব্রাকামন্তেসকে। মার্কিন মুলুকে ‘অনথিভুক্ত’ শরণার্থী। ক্যালিফর্নিয়ার দুই ডেপুটি শেরিফকে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে। অভিবাসন নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে আতঙ্ক তৈরি করতে ওই পথ সে বেছে নেয় বলে ধারণা অনেকের। সেই লুইয়ের ভিডিয়ো নিয়ে এ বার শিরোনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।
এ সপ্তাহের গোড়ায় ওই ভিডিয়ো বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারের জন্য। যাতে লেখা, ‘উপভোগ করুন। মঙ্গলবার এটা মনে রাখবেন।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ #ভোটরিপাবলিকানস। কিন্তু সেটি সম্প্রচার করতে আপত্তি জানায় একটি মার্কিন চ্যানেল। তাতে খেপে যান জুনিয়র। টুইটে তিনি বলেন, ‘‘ওরা শুধু ভুয়ো খবর নিয়ে চর্চা করে। প্রকৃত আশঙ্কা নিয়ে কথা বলা ওদের উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে না।’’ ওই চ্যানেলটির জনসংযোগ দফতর ট্রাম্প জুনিয়রকে বিঁধে টুইটে সাফ জানিয়ে দেয়, ‘‘ওই বিজ্ঞাপন বর্ণবিদ্বেষী।’’
হ্যালোউইন উপলক্ষে ওই বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, হাসিমুখে ভাবলেশহীন ব্রাকামন্তেস ঢুকছে আদালতকক্ষে। বলছে, ‘‘আমি পুলিশদের মেরেছি। ওরা মৃত। তার জন্য আমার কোনও অনুতাপ নেই। আমি শীঘ্রই বেরিয়ে আসব। আরও মারব।’’ বিজ্ঞাপনটি থেকে একটা লক্ষ্য স্পষ্ট। শরণার্থীরা খুনি এবং অপরাধী— এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।
সঙ্গে নিশানায় ডেমোক্র্যাটরাও। বস্তুত ট্রাম্প যখন বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেন, তখন লিখেছিলেন, ‘‘ডেমোক্র্যাটরা আমাদের দেশের প্রতি যা করছে, তা ভয়ঙ্কর। তাই রিপাবলিকানদের ভোট দিন।’’ ভিডিয়োতে যখন ব্রাকামন্তেস কথা বলছে, তখন সে দৃশ্যে ব্যানার চলছে, ‘ডেমোক্র্যাটরা ওকে আমাদের দেশে ঢুকতে দিয়েছেন।’ এর পরেই শরণার্থীদের ক্যারাভানের দৃশ্য। চেকপোস্ট পেরনোর চেষ্টায় হাজার হাজার শরণার্থী। তার পরে ট্রাম্পের একটি প্রিয় চ্যানেলের ক্লিপিং, যাতে দেখা যাচ্ছে, এক শরণার্থী ক্ষমাপ্রার্থী। খুনের চেষ্টার জন্য। তার পরেই ফের ভিডিয়ো জুড়ে ব্যানার, ‘আর কাকে কাকে ঢুকতে দেবে ডেমোক্র্যাটরা!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy