Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
US

‘আশ্রিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারত ও আমেরিকার

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ২+২ বৈঠক হয়।

পাকিস্তানকে কড়া বার্তা। ছবি: এএফপি।

পাকিস্তানকে কড়া বার্তা। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:১৫
Share: Save:

সন্ত্রাসদমন নিয়ে এ বার যৌথ ভাবে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল ভারত ও মার্কিন সরকার। পড়শি দেশগুলোতে নাশকতা চালাতে তাদের দেশের মাটিকেই ব্যবহার করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে ইসলামাবাদকে। সেইসঙ্গে ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং পাঠানকোট হামলার সঙ্গে যুক্ত যে জঙ্গিরা সে দেশে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ২+২ বৈঠক হয়। তাতে সন্ত্রাসবাদ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রথমে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকের পর দু’পক্ষের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতেই সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়।

তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো সংগঠনগুলিকে দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়ে, পাকিস্তান আসলে পড়শি দেশগুলিতে নাশকতামূলক হামলায় মদত জোগাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছে ভারত এবং আফগানিস্তান। গতকালের বৈঠকে তা নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘পড়শি দেশগুলিতে নাশকতা চালাতে তাদের দেশের মাটিকেই ব্যবহার করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এর বিরুদ্ধে পাক সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আলকায়দা, আইএস, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, হিজবুল মুজাহিদিন, তেহরিক-ই-তালিবানের মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে তাদের। ব্যবস্থা নিতে হবে কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ডি কোম্পানির বিরুদ্ধেও। ২৬/১১ মু্ম্বই হামলা, পাঠানকোট হামলার মতো সীমান্ত সন্ত্রাসে যুক্ত জঙ্গিদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

এ বছরের শুরুতে জইশ-ই-মহম্মদ চাঁই মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। তাতে সমর্থন জানানোর জন্য রাজনাথ সিংহরা মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদও জানান।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের তাজ হোটেল সহ-একাধিক জায়গায় পরিকল্পিত হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। তাতে ছয় মার্কিন নাগরিক-সহ মোট ১৬৬ জন প্রাণ হারান। ওই হামলার মূল চক্রী ছিল আর এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ। মার্কিন সরকার আগেই তাকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে। হাফিজ সইদের মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছে তারা। কিন্তু তার পরেও হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেনি পাক সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE