ছবি সংগৃহীত।
উন্মত্ত জনতার হাতে মন্দির ধ্বংসের পরদিনই তা পুননির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রশাসন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে সাড়ে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান কে পি কে সানাতুল্লা আব্বাসি। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
বুধবার পাকিস্তানের করক জেলার একটি মন্দিরে অংগ্নিসংযোগ করে উন্মত্ত জনতা। খাইবার পাখতুনখোয়ার ওই মন্দিরটি সংস্কারের অনুমোদন পাওয়ার পর তার উপর চড়াও হয় তারা। অভিযোগ, জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম দলের সমর্থকদের নিয়ে এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এক ধর্মগুরু।
বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের তরফে এই ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। বিষয়টি ভারতে পাক রাষ্ট্রদূতের কাছেও উত্থাপন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সে দেশের পার্লামেন্ট সদস্য তথা পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান রমেশকুমার বাঁকওয়ানি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মন্দির ধ্বংসের বিষয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি গুলজার আহমেদের সঙ্গে করাচিতে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেকর্ড জিএসটি আদায় ডিসেম্বরে, ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি
বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এ নিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রশাসনের কর্তাদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরই মন্দিরের পুনর্নিমাণে উদ্যোগী হয় পাখতুনখোয়া প্রশাসন।
পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান আব্বাসি জানিয়েছেন, রাতভর অভিযান চালিয়ে মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক ধর্মগুরু-সহ জমিয়তের প্রধান রেহমত সালাম খট্টকও রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy