পুলওয়ামায় ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’ মন্তব্য মার্কিন প্রেসডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
ইমরান খানের পরের দিনই পুলওয়ামা হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুলওয়ামায় জইশ জঙ্গিদের হানাকে ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য দিকে, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। হামলায় ‘যেই দোষী হোক, কড়া শাস্তি দিক পাকিস্তান’, মন্তব্য মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের সহ-মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো। ভারতকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন পালাডিনো।
জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবারই মুখ খুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। হামলায় দায় এড়িয়ে গিয়ে ইমরান হুঁশিয়ারি দেন, ভারত হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা প্রত্যাঘাত করবে। আর তার পরের দিনই মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, বিভিন্ন সূত্রে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে পুলওয়ামার ঘটনা যে ‘ভয়ঙ্কর’, সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সঠিক সময়েই বিবৃতি দেওয়া হবে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করলে সেটাই হবে সবচেয়ে ভাল পথ।’’
কুইজ: ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার
আরও পড়ুন: ভারত আক্রমণ করলে প্রত্যাঘাতে প্রস্তুত পাকিস্তান, ফাঁকা আওয়াজ ইমরানের, দাবি দিল্লির
এ দিনই আলাদা একটি সাংবাদিক করেন সম্মেলন করেন রবার্ট পালাডিনো। ‘শুধু সমবেদনা জানানো নয়, পূর্ণ সমর্থন দিতে’ ভারত সরকারের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পালাডিনো বলেন, ‘‘পাকিস্তানের কাছে আমাদের আর্জি, ভারতকে তদন্তে সব রকম সাহায্য করুন এবং (পুলওয়ামা) হামলায় জড়িত যেই হোক, কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুন।’’
কুইজ: ভারতে জঙ্গি সন্ত্রাস
আরও পডু়ন: অন্য বাসে উঠে বেঁচে গেলেন আর এক বাবলু
ভারতের পাশাপাশি পাক সরকারের সঙ্গেও যে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর কৌশল বজায় রয়েছে, সকথাও এ দিন জানিয়েছেন পালাডিনো। এর পাশাপাশি মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্সও পুলওয়ামা হামলার পরপরই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানকে। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব এবং প্রেস সচিব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy