হু-র প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস।
ফের নয়া রেকর্ড সংক্রমণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা টপকে গিয়েছে ১৮ জুনের পরিসংখ্যানকেও। সে দিন বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৩২। রবিবার হল ১,৮৩,০২০!
সংক্রমণের সিংহভাগই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে— ১ লক্ষ ১৬ হাজারেরও বেশি। এই দিনই করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল ব্রাজিলেও। লকডাউন তুলে সবাই ধাপে-ধাপে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করলেও, হু-র দাবি, বিপদ এখনও কাটেনি। দুবাই কর্তৃপক্ষ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে আজ হু-র প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বললেন, ‘‘আরও কয়েক দশক ভুগতেই হবে আমাদের। এটা শুধু স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়, একই সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং কিছু দেশের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সঙ্কটও।’’ কোভিড-যুদ্ধ জিততে সব দেশকেই ফের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন তিনি।
এরই মধ্যে তবু স্বস্তির খবর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। ১২ মার্চ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নেদারল্যান্ডসে। তার পর থেকেই হু-হু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। কিন্তু কাল দেশের কোনও প্রান্ত থেকেই নতুন সংক্রমণের খবর মেলেনি বলে দাবি ডাচ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। ইটালিতেও করোনা-মৃত্যুর হার ক্রমশ কমছে বলে দাবি সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। কালকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইটালিতে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। যা ২ মার্চের পর থেকে সবচেয়ে কম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকলেও আজ থেকেই বাধ্যতামূলক ভাবে বেশির ভাগ স্কুল খুলে গিয়েছে ফ্রান্সে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে হাজিরা খাতাতেও। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই গরমের ছুটি পড়ছে। তার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চেনা ভিড় নজরে এল স্কুলে-স্কুলে। দেশের কিছু নার্সারি স্কুল অবশ্য খুলে গিয়েছিল গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই। মিশরের প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ পড়ুয়া স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষাও দিয়েছে বলে খবর।
বিশ্বে করোনা
মৃত
৪,৭২,০৬৮
আক্রান্ত
৯১,২৪,০০২
সুস্থ
৪৮,৮৮,৩১৬
করোনা-যুদ্ধ জিততে মরিয়া গোটা বিশ্ব এখন প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। নাইজেরিরায় এক দল বিজ্ঞানীও আজ জানান, তাঁদের প্রতিষেধক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আফ্রিকার তরফে আসা প্রথম এই সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি করোনা ছাড়াও আরও অনেক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তবে এটি নাকি প্রাথমিক ভাবে আফ্রিকার জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
সংক্রমণের শীর্ষে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমেরিকায় অর্ধেকেরও বেশি প্রদেশে সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা মোকাবিলায় হোয়াইট হাউস গোড়ায় টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিল। শুধু এ-টুকুই যে যথেষ্ট ছিল না, তা নিয়ে আজ সরব হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বর্তমানে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের প্রচার-উপদেষ্টা জেক ইমানুয়েল। তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাই মৃত্যুর হারও কমবে বলে আশা। যে অ্যারিজোনায় গত দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সেখানেই ভোট-প্রচারে যেতে মুখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: চিনের অস্ত্রসম্ভার, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে, দেখে নিন এক নজরে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy