ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁদে পা দিয়ে আমেরিকায় পড়তে গিয়ে গ্রেফতার হলেন ১২৯ জন ভারতীয় পড়ুয়া। অবৈধ ভাবে মার্কিন মুলুকে থাকার জন্যই তাঁদের গ্রেফতার করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তদন্তকারীরা। ধৃত পড়ুয়াদের মুক্ত করে দেশে ফেরত নিয়ে আসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
অভিযোগ অনেক দিন ধরেই উঠছিল। ২০১৭ সালের জুন থেকে ২০১৯-এর জানুয়ারি পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালান হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তদন্তকারীরা। কখনও ছাত্র সেজে, কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সেজে ফাঁদ পাতেন। অভিযুক্ত ভারতীয় পড়ুয়ারা তাতেই ধরা পড়েন বলে দাবি তদন্তকারীদের। আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভুয়ো নথি জোগাড় করে বিভিন্ন ভুয়ো মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েপড়তে যেতেন অভিযুক্তরা। সেই কাগজপত্র দেখিয়ে অভিবাসন দপ্তরের কাছ থেকে ছাত্র-ভিসা জোগাড় করে নিতেন ওই বিদেশিরা। ছাত্র-ভিসা নিয়ে আমেরিকায় ঢুকলে কিছুদিনের মধ্যে 'ওয়ার্ক পারমিট' বা রোজগারের অনুমতিপত্র জোগাড় করে নেওয়াও খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ফলে, শুধু থাকাই নয়, সঙ্গে আয়ের বন্দোবস্তও পাকা হয়ে যেত। বিষয়টিকে মার্কিন প্রশাসন ‘পে অ্যান্ড স্টে' কেলেঙ্কারি হিসেবে দেখছে।
ভারতীয় পড়ুয়ারা গ্রেফতার হওয়ায় বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতীয় পড়ুয়াদের মুক্তির বিষয়টি তাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাইছি আমেরিকার বন্ধুত্ব, ট্রাম্পকে চিঠি চিনা প্রেসিডেন্টের
আরও পড়ুন: আমেরিকায় প্রবল শীতে মৃত ২১
আপাতত এই ‘পে অ্যান্ড স্টে' কেলেঙ্কারি সম্পর্কে বিশদে জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই চক্র কীভাবে কাজ করত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা। এই ১২৯ জনের বাইরে আর কেউ একই চক্রের শিকার হয়ে মার্কিন মুলুকে ঘাঁটি গেড়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy