Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশের ভাবনা

সবচেয়ে মজার কথা, অগুনতি বার বাগদাদিকে মেরে ফেলার দাবির মধ্যে নাম রয়েছে রাশিয়ারও। ২০১৭ সালে বিমান হানায় সিরিয়ার রাকায় বাগদাদিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছিল রাশিয়া।

আবু বকর আল বাগদাদি।

আবু বকর আল বাগদাদি।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪৪
Share: Save:

আইএস শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদিকে শেষ করে দেওয়ার যে দাবি আমেরিকা করেছে, তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে রীতিমতো বিদ্রুপ করছে রাশিয়া। এর আগে অগুনতি এমন দাবি করা হয়েছে বলে বিষয়টিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিতে চেয়েছে তারা। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, মার্কিন সেনার অভিযান নিয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। রুশ মন্ত্রকের মতে, হতেই পারে আল-বাগদাদি এখনও বেঁচে রয়েছেন।

সবচেয়ে মজার কথা, অগুনতি বার বাগদাদিকে মেরে ফেলার দাবির মধ্যে নাম রয়েছে রাশিয়ারও। ২০১৭ সালে বিমান হানায় সিরিয়ার রাকায় বাগদাদিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছিল রাশিয়া। সে বার তাদের দাবিতে জল ঢেলে দেয় আমেরিকা। রাশিয়া ওই অভিযানে ৩০০ আইএস জঙ্গি মারার কথা বললেও বাগদাদি-নিধনের জোরালো প্রমাণ দিতে পারেনি। আর এ বছর এপ্রিলে ফের বাগদাদির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে তো সে দাবি এমনিতেই ধোপে টেকেনি।

বাগদাদি-নিধন নিয়ে এই বিতর্কে ইতি টানতে আজই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শনিবার রাতের ওই অভিযানের ভিডিয়ো ফুটেজের অংশ প্রকাশ্যে আনার কথা ভাবছেন তাঁরা। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।’’

তবে রাশিয়া দিনের শুরুতে ওই প্রতিক্রিয়া দিলেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পরে জানান, আল-বাগদাদিকে মেরে ফেলার খবর নিশ্চিত হলে তা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসের লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বড় অবদান। পেসকভ আরও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মার্কিন বিমানের আনাগোনা চোখে পড়েছে। ছিল কিছু ড্রোনও।

আমেরিকার সাফল্যে তুরস্কও গর্বিত বলে জানিয়েছে। সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়েপ এর্ডোয়ান এবং ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, ‘‘আমাদের সেনা এবং গোয়েন্দারা মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। তারা পারস্পরিক সমন্বয় রেখেছে।’’ কালিনের মতে, বাগদাদির মৃত্যু বড় জয়। তুরস্কও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। একই বার্তা দিয়েছে ইজ়রায়েলও। অভিনন্দন জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে ইরানের বক্তব্য, আল-বাগদাদিকে সরিয়ে আমেরিকা বিরাট কোনও কাজ করেছে, এমন ভাবার কারণ নেই। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, ‘‘বাগদাদির মৃত্যুতে কিছুই পাল্টাবে না। কারণ ওই এলাকায় আইএসের শীর্ষ নেতার মতাদর্শ এখনও জীবন্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorism USA Russia ISIS Abu Bakr al-Baghdadi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE