মরসুম অনুযায়ী জিনিসপত্র কিনে ফেলার অভ্যাস থাকে প্রায় সকলেরই। এর মধ্যে কিছু জিনিস প্রয়োজনীয় হলেও পরে মনে হয়, এটা না হলেও চলত। কিন্ত সেই আপসোসও হয়ে যায় অর্থহীন। কারণ, জিনিসটি ঘর বোঝাই হলেও ফেলে দেওয়ার উপায় থাকে না। ছিমছাম অন্দরসজ্জার শখ থাকলে শীতের দিনে বেশি কেনা হয়ে যায়, এমন কোন জিনিস এড়িয়ে চলবেন?
ঘর সাজানোর মরসুমি সরঞ্জাম: শীত এলেই অনেকে মরসুমের উপযোগী উপকরণ দিয়ে ঘর সাজান। বড়দিনে সান্টা, ক্রিসমাস ট্রির দরকার হয়। অনেকে ঘর সাজাতে টুকিটাকি বিভিন্ন জিনিস কেনেন প্রতি বছর। মরসুম ফুরোলে সেগুলি কোথায় রাখবেন, শুরু হয় নতুন ভাবনা। ঘরের অন্দরসাজের টুকটাকি জিনিসগুলি রাখার যথাযথ জায়গা না থাকলে তা যেমন স্থানাভাবের কারণ হয়, তেমন ঘর জবরজং দেখায়। তা ছাড়া, ছোটখাটো জিনিসে ধুলো হয় বেশি। গাদাখানেক জিনিস না কিনে যে জিনিসগুলি এ দিক-ও দিক করে, ঘরোয়া গাছপালা দিয়ে সাজসজ্জা করা যায়, সেগুলি যত্নে রাখুন।
আরও পড়ুন:
শীতপোশাক: সাজসজ্জা এবং ছিমছাম ঘর সাজানো পছন্দ হলে বছরভর নতুন শীতপোশাক কেনাও অর্থহীন। প্রতি বছর নতুন সোয়েটার, তার সঙ্গে মিলিয়ে জুতো-গ্লাভস কিনলে পরে সেগুলি কোথায় রাখবেন, সেটাও ভাবতে হবে। বরং যা কেনা রয়েছে, তা নতুন ভাবনায় পরা যায় কি না দেখুন। অনেক সময় স্টোল নেওয়ার ধরনে বদল আনলে সাজ নতুন দেখায়। রং মেলানোর বদলে, রঙের বৈপরীত্যও নজর কাড়ে।
প্রাকৃতিক জিনিস: অনেকেই বছর বছর ক্রিসমাস ট্রি, ঘর সাজানোর উপকরণ কেনেন। তবে বাড়িতে যদি ক্রিসমাস ট্রির মতো গাছ বাগানে বা টবে বড় করা যায়, সেটি সাজিয়ে ফেলতে পারেন। কৃত্রিম ফুলদানি সাজানোর বদলে ফুলের গাছ দিয়েও অন্দরসজ্জা সম্ভব। কৃত্রিম জিনিসের ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করলে ঘর সেজে উঠবে, বাড়তি জিনিসের প্রয়োজন হবে না।
সুগন্ধী বাতি: শীতের মরসুমে কেউ কেউ বাড়িতে সুগন্ধী মোম জ্বালান। অনেক সময় আধখানা মোমই পড়ে থাকে। ধুলো পড়ে নষ্ট হয়। নতুন বাতি না কিনে পুরনো বাতিগুলি গরম জলের উপরে একটি পাত্র বসিয়ে গলিয়ে নিন। এতে পছন্দের এসেনশিয়াস অয়েল মিশিয়ে ইচ্ছামতো ছাঁচে ঢেলে জমিয়ে নিন। নতুন জিনিস হবে, পুরনো জিনিসের অপচয়ও হবে না।
লেপ-কম্বল: লেপ-কম্বলের যত না দরকার পড়ে, তার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায় বহু বাড়িতেই।শীত এলেই নতুন ধরনের লেপ-কম্বল কিনে ফেলেন অনেকে। তার চেয়ে বরং পুরনো জিনিসগুলির ওয়াড় বদলে ফেলুন। তাতেই পুরনো জিনিস নতুন দেখাবে।