শীত এখনও জাঁকিয়ে পড়েনি বঙ্গে। হালকা হিমেল পরশের আরামটুকুই মিলছে যা। তবে সময় হয়েছে বছরভর স্যুটকেশে, আলমারিতে গুছিয়ে রাখা শীতপোশাকগুলি একএক করে বার করার। তবে সোয়েটার বা শীতের দিনের পোশাকগুলি বার করেই গায়ে দেওয়া যায় না। তার কারণ, দীর্ঘ সময় বদ্ধ অবস্থায় থাকার ফলে সোয়েটারে কেমন যেন ভ্যাপসা গন্ধ থাকে। আবার অনেক পোশাক থেকে রোঁয়াও উঠতে শুরু করে।
আরও পড়ুন:
ঠান্ডা পরার আগে তাই পোশাক, সোয়েটারগুলি ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা দরকার। গন্ধ দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন।
১। প্রথমেই আলো-হাওয়া আসে, এমন জায়গায় সোয়েটার, জ্যাকেট, পোশাক মেলে দিন। চড়া রোদে দিলে রং নষ্ট হতে পারে। কম রোদে দেওয়াই ভাল। ঘণ্টা ২-৩ রাখলেই বিশ্রী গন্ধ চলে যাবে।
২। ঠান্ডা জলে বেকিং সোডা গুলে সেই জলে সোয়েটার বা কাপড়ের জ্যাকেট, জামা ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে পরিষ্কার জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। দীর্ঘ দিন আলমারিতে বন্দি থাকার ফলে হওয়া গন্ধ এতেও চলে যাবে।
৩। বাড়িতে পোশাক ইস্ত্রি করার গারমেন্টস স্টিমার থাকলে সেটিও কাজে লাগানো যায়। হ্যাঙ্গারে সোয়েটার, জ্যাকেট ঝুলিয়ে স্টিম দিয়ে সেটি ইস্ত্রি করে নিন কম তাপমাত্রায়, এতে কিছুটা লাভ হবে।
৪। অনেক সময় সোয়েটার, চাদর বার করার পর দেখা যায় উল থেকে রোঁয়া উঠতে শুরু করেছে। রোয়া তোলার জন্য বিভিন্ন রকম জিনিস পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ বা হাতে চালিত নরম কাঁটা যুক্ত হাতলওয়ালা যন্ত্র কিনতে পারেন। এগুলি দিয়ে হালকা টানলেই আলগা রোঁয়া উঠে আসে।
৫। সুগন্ধী সোয়েটার, চাদরের গন্ধ দূর করতে পারে না। বরং রাসায়নিকের সংস্পর্শে চাদর, জ্যাকেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চাদর, সোয়েটার রোদে দেওয়ার পরে আলমারিতে তোলার সময় ভিতরে শুকনো নিমপাতা ভরে দিন। এতে পোকামাকড় হবে না। একটি কাপড়ের পুঁটলিতে লবঙ্গ ভরে সোয়েটারের জায়গায় রেখে দিন। শুকনো ল্যাভেন্ডার বা অন্যান্য ফুলের পুঁটলি কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলিও পোশাকের ভিতরে রাখতে পারেন।