Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Inspirational story

৭৮ বছর বয়সে আবার স্কুলে ভর্তি, ইংরেজি শেখার তাগিদেই জীবনের ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরু বৃদ্ধের

মিজোরামের চমফাই জেলার রুআইকাবন গ্রামের বাসিন্দা লালরিংথারা। তিনি চলতি শিক্ষাবর্ষে রুআইকাবন গ্রামের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবার লেখাপড়া শুরু করলেন বৃদ্ধ।

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবার লেখাপড়া শুরু করলেন বৃদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
আইজল শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৫
Share: Save:

শেখার আগ্রহ থাকলে বয়স কখনওই বাধা হতে পারে না— এই কথা আবারও প্রমাণ করলেন ৭৮ বছর বয়সি মিজোরামের এক বৃদ্ধ। ৩ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলের পোশাক পরে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে লালরিংথারা নামের সেই বৃদ্ধ রোজ স্কুলে যান। মিজোরামের চমফাই জেলার রুআইকাবন গ্রামের বাসিন্দা লালরিংথারা। তিনি চলতি শিক্ষাবর্ষে রুআইকাবন গ্রামের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন।

১৯৪৫ সালে জন্ম হয় লালরিংথারার। তবে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর আর পড়া হয়নি তাঁর। বাবার মৃত্যুর পর বাড়ির একমাত্র ছেলে হিসাবে মাকে মাঠের কাজে সাহায্য করতেন তিনি। মিজোরামের বিভিন্ন জেলায় বসতি স্থাপনের পর ১৯৯৫ সালে শেষমেশ তিনি রুআইকাবন গ্রামেই বাকি জীবনটা কাটাবেন বলে স্থির করেন। দারিদ্র্যের কারণে যে পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছিল এখন আবার তা শুরু করতে পেরে খুশি লালরিংথারা।

ক্লাস চলাকালীন পড়াশোনায় ব্যস্ত লালরিংথারা।

ক্লাস চলাকালীন পড়াশোনায় ব্যস্ত লালরিংথারা। ছবি: সংগৃহীত।

ইংরেজিতে আবেদনপত্র লিখতে পারা এবং টেলিভিশনের সংবাদগুলি সঠিক ভাবে বুঝতে পারার জন্যই তিনি আবার স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। এখন গির্জায় দ্বাররক্ষকের কাজ করে লালরিংথারা, এর পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে চান তিনি। মিজোরামের স্থানীয় ভাষা ভাল ভাবেই লিখতে আর পড়তে পারেন তিনি। তবে, ইংরেজিতেই যত সমস্যা। ইংরেজি শেখার তাগিদ থেকেই আবার স্কুলে ভর্তি হলেন লালরিংথারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Inspirational story Mizoram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE