লাখ টাকা দিয়ে সোনা কেনেন। কিন্তু এই উৎসবে কেউ লাখ টাকা খরচ করে মিষ্টি কিনবেন কি? উত্তর নিশ্চিত ভাবে জানা আছে রাজস্থানের জয়পুরের এক মিষ্টান্ন বিক্রেতার। কারণ তিনিই এই উৎসবের মরসুমে লাখ টাকার মিষ্টি বানিয়েছেন।
বাঙালিরা যেমন বিজয়ায় মিষ্টিমুখ করান, তেমনই দীপাবলিতেও আত্মীয়-বন্ধুদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠানোর প্রথা রয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। তার জন্য ঢালাও খরচও করেন অনেকেই। বাজার বুঝে তার জোগান তৈরি করেন মিষ্টি বিক্রেতারাও। তবে এ বছর সেই ‘জোগান’ তার মূল্যগুণে খবরে। মিষ্টির নাম 'স্বর্ণ প্রসাদম'। দাম ১ লক্ষ ১১হাজার টাকা। বিক্রেতার দাবি, এ মিষ্টিতে সোনা আছে!
‘গরুর দুধে সোনা’র গল্প ‘অলীক’ মনে হলেও এটি ঘোর বাস্তব। এ মিষ্টি দুধ-ছানা-ক্ষীর-ননীর পরতে সত্যিই খুঁজলে সোনা পাওয়া যাবে। তা-ও আবার যে সে সোনা নয়, জয়পুরের মিষ্টান্ন বিক্রেতা বলছেন, এটি স্বর্ণভস্ম। অর্থাৎ সোনার ছাই। এ ছাই শত্রুর মুখে দেওয়া যাবে না নিশ্চিত! উল্লেখ্য, স্বর্ণভস্ম এক আয়ুর্বৈদিক ওষুধ।
আরও পড়ুন:
এ ছাই খাওয়া যাবে। দোকানের মালিক অঞ্জলি জৈন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গবেষণাগারে পরীক্ষিত ওই ২৪ ক্যারেট সোনার ছাই খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কিন্তু সোনার ছাই আর সোনায় তো তফাত অনেক! তা ছাড়া ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় ২৪ ক্যারাটের ১০ গ্রাম সোনা পাওয়া যাবে। মিষ্টিতে তো আর দশ গ্রাম সোনা থাকছে না। যা থাকছে, তা-ও সোনার ছাই। তা হলে এত দাম কিসের?
অঞ্জলি বলছেন, ‘‘এ মিষ্টি তৈরি হয়েছে চিলগজ়া দিয়ে। যা এই মুহূর্তের সবচেয়ে দামী মেওয়া বা শুকনো ফল। কাশ্মীর থেকে আনানো ভাল জাতের জাফরান ছড়ানো রয়েছে মিষ্টির উপর। রয়েছে দামি পাইনের বাদামও। এ ছাড়া এতে স্বর্ণভস্মের পাশাপাশি সোনার সূক্ষ্ম কাজও করানো হয়েছে। মিষ্টিটি প্যাকিংও করানো হবে দামি গয়নার বাক্সে।’’
তবে স্বস্তির বিষয় এটুকুই, এ মিষ্টির এক এক কেজির দাম ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। চাইলে কেউ ৫০০ গ্রাম বা ২৫০ গ্রাম স্বর্ণ প্রসাদম কিনতেই পারেন। তাতে ‘অল্প’ খরচেই মহার্ঘ্য স্বাদের ভাগ পাওয়া যাবে। তবে অঞ্জলি বলছেন, ‘‘এ মিষ্টি ভারতের আয়ুর্বেদের নানা তত্ত্বকে মাথায় রেখে বানানো হয়ছে। যা আমাদের ভারতের সংস্কৃতির অঙ্গে অঙ্গে জড়িয়ে। আর খাঁটি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রকাশ তো সব সময়েই অমূল্য!’’