তাঁর গলায় এখন গল্ফ বলের ব্যাসের মাপের রত্ন দোলে। যার দাম কয়েক কোটি ডলার। নামী বিদেশি গয়নার ব্র্যান্ড, যাঁদের তৈরি অলঙ্কারের নাগাল চট করে সাধারণ মানুষ পান না, সেই ব্র্যান্ড প্রিয়ঙ্কাকে ডেকে তাদের সবচেয়ে দামি গয়নাটি পরতে বলে। যে রত্নহার অন্য সময় রাখা থাকে ব্র্যান্ডের সংগ্রহশালায়!
কিন্তু সে তো এখনকার কথা। প্রিয়ঙ্কা যখন তারকা ছিলেন না, যখন তিনি 'বিশ্বসুন্দরী' তকমা ছেঁটে ফেলে বলিউডের অভিনেত্রী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, তখনও হিরের প্রতি আকর্ষণ ছিল নায়িকার। এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের প্রথম হিরে কেনার গল্প শুনিয়েছেন অভিনেত্রী।
দীপাবলিতে এ দেশে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। যে দেবী সমৃদ্ধির, স্বাচ্ছল্যের প্রতীক। হিরেও স্বাচ্ছল্য আর সমৃদ্ধির কথা বলে। যা খুব ভাগ্য করে না জন্মালে সহজে মেলে না। অর্জন করতে হয়। দীপাবলিতে সেই ক্ষমতা অর্জনের গল্প শেনালেন প্রিয়ঙ্কা।
আরও পড়ুন:
এক পডকাস্টে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘‘আমার জীবনের প্রথম কেনা হিরেটি ছিল ২ ক্যারাট ওজনের। আমার মনে আছে, প্রথম দিকের কোনও একটি সিনেমার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করার পরে হাতে যে টাকা পেয়েছিলাম, সেটা দিয়েই ওই দু’ক্যারাটের হিরেটা কিনেছিলাম। তবে সেটা মাকে দেখানোর পরে তিনি যা বলেছিলেন, সেটা আমার মনে থাকবে।’’
প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, হিরে কেনার পরে সেটা মা মধু চোপড়াকে দেখাতে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এ বার তুমি সত্যিকারের একজন নারী হয়ে উঠলে। যে নিজেই নিজের হিরে কিনতে পারে।’’
প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের ওই কথা তাঁকে প্রভাবিত করতে পেরেছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, 'নারী হওয়া' বলতে মা কী বুঝিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা বলছেন, ‘‘আসলে মা বোঝাতে চেয়েছিল, নারীত্ব শুধু কমনীয়তায় নয়, নিজের খেয়াল রেখে নিজের স্বপ্নপূরণের ক্ষমতা অর্জন করাতেই নিহিত। সেই স্বনির্ভরতাই নারীকে সম্পূর্ণ করে।’’