Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
Bizarre

ফুটন্ত গরম জলের বোতল ফেটে বিপত্তি! শেষে তরুণীয় ঠাঁই হল হুইলচেয়ারে

পেটে সেঁক দেওয়ার সময়ে ফুটন্ত জল ভর্তি কাচের বোতল ফেটে দেহের নিম্নাংশ পুড়ে যায় বিট্রেনের এক তরুণীর।

A woman burnt after using hot water bottle for period pain

সেঁক দিতে গিয়ে বিপত্তি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৯:১২
Share: Save:

ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেকেরই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ব্যথানাশক ওষুধের উপর নির্ভর না করে পেটে গরম সেঁক দেন অনেক মহিলাই। সেখান থেকেই যত বিপত্তি! পেটে সেঁক দেওয়ার সময়ে ফুটন্ত জল ভর্তি কাচের বোতল ফেটে দেহের নিম্নাংশ পুড়ে যায় বিট্রেনের এক তরুণীর। প্রাণে বাঁচলেও তাঁর জীবন বাঁধা পড়ে যায় হুইল চেয়ারে।

কী এমন ঘটেছিল সেদিন?

কেমব্রিজশায়ারের বাসিন্দা, বছর ৩৩-এর ওই তরুণীর গভীর রাতে হঠাৎ ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা শুরু হওয়ায় তিনি গরম জলের সেঁক দিতে হেঁশেলে গিয়েছিলেন। তবে, সেঁক দেওয়ারও নানা রকম পদ্ধতি রয়েছে। আগে পরিষ্কার সুতির কাপড় চাটুতে বা হ্যারিকেনের উপর গরম করে শুকনো সেঁক দেওয়ার চল ছিল। অনেকেই হট ব্যাগের সাহায্যেও গরম সেঁক নেন। তবে, ওই তরুণী কাচের বোতলে গরম জল ভরে সেঁক নিচ্ছিলেন। বোতলটি পাজামার ভিতর একেবারে দেহের সঙ্গে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন আমি রান্নাঘরে কাজ করছিলাম। কখন, কী ভাবে কাচের বোতল ফেটে গেল তা আমি বুঝতেও পারিনি। তবে অসহ্য জ্বালা-যন্ত্রণা হচ্ছিল, তা টের পেয়েছিলাম।”

ফুটন্ত জলের বাষ্প থেকে কাচের বোতলের ভিতর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে ওই তরুণীর কোলের মধ্যেই কাচের বোতলটি ফেটে যায়। তৎক্ষণাৎ ওই তরুণীর স্বামী তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তত ক্ষণে পেটের নিম্নাংশ, পা, নিতম্ব, গোপনাঙ্গের অনেকটা অংশই পুড়ে গিয়েছিল। গরম জলের বোতল থেকে যে এমন বিপদ হতে পারে, তা কেউই আঁচ করতে পারেননি কেউ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাণ সংশয় না থাকলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ওই তরুণীর অনেকটা সময় লাগবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bizarre Period pain Bottle burnt
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE