আঁস্তাকুড়ের খাবার খেয়েই তিন বেলা কেটে যায় মহিলার ছবি: সংগৃহীত
ফ্যান কবিতাটির কথা মনে পড়ে? আঁস্তাকুড় থেকে খাবার খুঁজে মরছিলেন দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ? নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কিংবা জয়নুল আবেদিনের ছবি, বঙ্গদেশের খাদ্যাভাবের ছবি দেখে এখনও আঁতকে ওঠেন মানুষ। কিন্তু অভাবের তাড়নায় নয়, কেবল অপচয় পছন্দ নয় বলে আঁস্তাকুড় থেকে খাবার সংগ্রহ করার কথা শুনেছেন কখনও? শুনতে অবাক লাগলেও এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ব্রিটেনের এক মহিলা।
৬২ বছর বয়সি জিল বেনেট ইংল্যান্ডের নর্থ হ্যাম্পটনের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, গত এক মাস ধরে তিনি নিকটবর্তী বিভিন্ন সুপারমার্কেটের আঁস্তাকুড় থেকে তিন বেলার খাবার সংগ্রহ করছেন। নিজেকে ‘ফ্রিগান’ বলে দাবি করা জিল জানান, রোজ হরেক রকমের টাটকা ফল ও খাবার আঁস্তাকুড়ে পড়ে থাকতে দেখে মারাত্মক বিরক্ত হতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য না করতে পেরে ওই আঁস্তাকুড় থেকেই খাবার সংগ্রহ করা শুরু করেন তিনি। জিল জানিয়েছেন, প্রায় এক মাস নিখরচায় খাবার খাচ্ছেন তিনি। জিল জানান, হরেক রকমের সব্জি, ফল, ডিম, দুধ, পাউরুটি, সবই তিনি পেয়েছেন আঁস্তাকুড় থেকে। এমনকি, এত ভাল খাবার তিনি আগে খাননি বলেও দাবি জিলের।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে জিল জানান, প্রতি বছর গড়ে ৯৫ লক্ষ টন খাবার অপচয় করেন ব্রিটেনের মানুষ। যেখানে দেশের প্রায় ৮৪ লক্ষ মানুষ দরিদ্র, সেখানে এই অপচয় মানায় না বলেই মত তাঁর। শুধু নিজের খাবার সংগ্রহই নয়, দরিদ্র মানুষকেও সহায়তা করেন তিনি। জিল এক বার আঁস্তাকুড় থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার চকোলেট পেয়েছিলেন, যা একেবারে টাটকা ছিল। সেই চকোলেট তিনি বিলি করে দেন বলেও জানান জিল। তবে বহু পুষ্টিবিদ অবশ্য বলছেন, এই ভাবে আঁস্তাকুড় থেকে খাবার সংগ্রহ করলে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই এই ধরনের কাজ করার আগে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy