মহাকাশচারী জনি সিনস? —ফাইল চিত্র
লিখিত ভাবে এখনও মহাকাশে শারীরিক মিলনের কোনও ঘটনার উল্লেখ নেই। কারণ, মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির তরফে রয়েছে যথেষ্ট কড়াকড়ি। শারীরিক মিলনের ফলে যদি কেউ মহাকাশে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তবে তার ফল হতে পারে ভয়াবহ, এমনই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু নিয়ম ভাঙতে চান পর্ন তারকা জনি সিনস। মহাকাশে প্রথম যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা তাঁর। আর সেই স্বপ্নপূরণে সঙ্গে চান আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ককে।
মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে না। পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের মহাজাগতিক রশ্মি ও তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের পরিমাণও সেখানে বেশি। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, মহাকাশে মিলনের ফলে যদি কেউ অন্তঃসত্ত্বা হন, তবে এই বিষয়গুলির অভিঘাতে ভ্রূণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। হতে পারে মৃত্যুও। পাশাপাশি, মহাকাশে মানবদেহে রক্তসঞ্চালন, হাড়ের বৃদ্ধি ও পেশির কার্যকারিতাও প্রভাবিত হয়। এই পরিস্থিতিতে মিলন বিপজ্জনক হতে পারে। তা ছাড়া, মহাকাশে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ হলে জীবাণুগুলির চরিত্র বদলে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। এই সব কারণেই সরকারি ভাবে মহাকাশচারীদের যৌনমিলনে নিষেধ করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি।
জনির আশা, এই বিষয়টি বদলে যাবে ইলন মাস্কের হাত ধরে। কারণ টেসলা ও টুইটারের পাশাপাশি একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থারও কর্তা ইলন মাস্ক। সংস্থাটির নাম ‘স্পেসএক্স’। জনির আশা, সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশে। দেওয়া হবে মিলনের সুযোগ। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে জনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল নাগাদ প্রথম বার তাঁর ভক্তরা মহাকাশে তাঁকে দেখতে চাওয়ার দাবি জানান। প্রস্তাব মন্দ লাগেনি তাঁর। কিন্তু তখন অসম্ভব মনে হলেও, এখন তাঁর মনে হচ্ছে সেই সুযোগ মিললেও মিলতে পারে। ইলনের সংস্থা রাজি হলে ২ বছরের মধ্যেই কাজটি করতে চান বলে জানিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সি জনি। তাঁর দাবি, বেশ কয়েক বার মহাকাশচারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এ বার সত্যিই মহাকাশচারী হতে চান। আর তাঁর এই স্বপ্নপূরণে রাজি হয়ে যাবেন ইলন মাস্কও। কারণ, সংস্থার প্রচারে বড় ধরনের চমক তৈরি হতে পারে এতে। তবে যাঁর কাছে দরবার, সেই ইলন অবশ্য এখনও জনির মন্তব্যের ভিত্তিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy